জীবনদর্শন নিয়ে অঢেল জ্ঞান ছিল আচার্য চাণক্যের । তাঁর চাণক্যনীতিতে এমন বহু জিনিস লেখা রয়েছে যা মানলে আপনারই লাভ হবে। অর্থ, দাম্পত্য, বন্ধুত্ব ইত্যাদির মতো বিষয় নিয়ে নিজের বইতে গিয়েছেন মৌর্য যুগের এই পন্ডিত। তাঁর মতে, বাড়ির মহিলাদের বিশেষ কিছু অভ্যাস
রয়েছে। যেগুলি একটি পরিবারের শান্তি ও উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই অভ্যাসগুলি একজন মহিলার মধ্যে থাকলে তাঁর পরিবার খুবই সুখী হয়। চাণক্যের মতে, মহিলারা হলেন একটি সংসারের মেরুদণ্ড। তাই মহিলারা যাতে সফল হতে পারেন, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন
এই মহাপন্ডিত। তাঁর মতে, মহিলারা পুরুষদের থেকে অনেক ভাল ভাবে অর্থ সামলাতে পারেন। তাঁরা যে ভাবে একটি সংসার চালাতে পারেন, তা একজন পুরুষ পারেন না। সংসারের কোথায় কোন খরচ হচ্ছে, তার খেয়াল রাখেন মহিলারাই। তাই আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতে
অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনেন তাঁরা। যা একজন পুরুষ সহজে পারেন না। তাঁদের এই ক্ষমতার জন্যেই সংসারে অনেক খরচ বাঁচে। তাই দুর্দশার সময়েও সেই পরিবারে কোনও বিপদ আসে না। এই পরিবারগুলি কোনওদিনও আর্থিক সঙ্কটে ভোগে না। যে মহিলারা সংবেদনশীলভাবে
এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কাজ করেন, তাঁরা সব সময়েই কিছু অর্থ সঞ্চয় করেন। এর সম্পর্কে পরিবারের বাকিরাও জানতে পারেন না। শুধু তাই নয়, যে মহিলারা যা আছে তাতেই খুশি থাকেন, তাঁদের পরিবারও সুখী থাকে। পরিবারের অবস্থা দেখেই নিজেদের ইচ্ছাপূরণ
করেন এই মহিলারা। ফলে তাঁরা এমন কোনও কাজ করেন না যা পরিবারকে কোনও বিপদে ফেলে। যে মহিলাদের এই অভ্যাস থাকে, পরের প্রজন্মেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। চাণক্য বলেছেন, নিজের ইচ্ছা ভুলে যাওয়া সঠিক নয়। কিন্তু নিজের আর্থিক অবস্থা দেখে ইচ্ছাপূরণ
করলে পরে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। ফলে নিজের সম্মানও বাঁচবে। চাণক্য আরও বলেছেন, মহিলারা আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু তাঁরা আবেগের নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। যে মহিলাদের ধৈর্য বেশি হয়, তাঁরা সুখে থাকেন। কঠিন সময়ে তাঁদের পরিবারও সুখে থাকতে পারে।
ডিসক্লেইমার: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।