মুহূর্তে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্র কমাবে এই সাত খাবার
Image: google

মুহূর্তে রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাবে এই সাত খাবার!

ছেড়েছ তো অনেক কিছুই পুরনো অভ্যেস, অসুখ বিসুখ হওয়ার পরে জিলিপি সন্দেশ। কবীর সুমনের গানটা মনে আছে নিশ্চয়ই কোলেস্টেরল নিয়ে ইদানীং ঘরে ঘরে এই সমস্যা। ফলে প্রিয় অনেক খাবারই বাদ দিতে হয়েছে। খাসির মাংস চলবে না, মিষ্টি বন্ধ। ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড

পাত থেকে বিদায় হয়েছে আগেই। তাহলে ভাল খাবার কোনটা? কী খেলে ক্ষতি না হয়ে বরং উপকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? ওজন ও রক্তে চর্বি যাঁদের বেশি অথবা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের রোগীদের বেছে নিতে হবে এমন খাবার, যা রক্তে অসম্পৃক্ত বা উপকারী চর্বি

সরবরাহ করে। পাশাপাশি সেগুলো যেন রক্তে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। এজন্য কয়েকটা ফল খেতে হবে নিয়মিত। যার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আছে তো? জেনে নিন কোলেস্টেরল কমাবেন কিভাবে!

1. ন্যাসপাতি:: রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পেতে নাশপাতি খেতে হবে নিয়মিত। এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে।
2. স্ট্রবেরি:: খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, শরীরের জন্যও অত্যন্ত ভালো। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

3. আপেল: কথায় বলে প্রতিদিন একটা আপেল চিকিৎসকদের থেকে দূরে রাখবে। আপেল রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই প্রতিদিন পাতে একটা করে আপেল রাখতেই হবে।
4. আঙুর: আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা শরীরের কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে আঙুর রাখা জরুরি। তাছাড়া এই ফল হার্টের জন্যও খুব ভালো।

5. অ্যাভোকাডো: অনেকে মনে করেন বেশি পরিমাণে অ্যাভোকাডো খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাহলে জেনে রাখা ভাল যে ইউএসডিএ অনুযায়ী, অ্যাভোকাডোর মধ্যে ০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল আছে এবং তাই এটি শরীরের পক্ষে ভাল। তাছাড়া এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস।
6. লেবু: যে কোনও ধরনের লেবুতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়, তেমনই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া রোজ নিয়ম করে লেবু খেলে হৃদরোগের আশঙ্কাও কমে যায় অনেকটা।

7. পেঁপে: পেঁপের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে ফাইবার। আর তাই তা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও কিন্তু পেঁপে খুব উপকারী। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন বা ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও প্রতিদিন পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *