শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ৫ টি নিয়ম
Image: google

শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ৫ টি নিয়ম, যা সবার জানা দরকার

সারাদিন কাজের ব্যস্ততার মধ্যে খুব কম সময়তেই আমাদের শরীর বিশ্রাম লাভ করে। কিন্তু এই অতি অল্প সময়ে বিশ্রাম এর ফলে ধীরে ধীরে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে মানুষ নিজের খাবার দাবার বা অন্যান্য শারীরিক সতর্কতার প্রতি নজর দিতে চান না।

যার ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয় নানান ধরনের রোগব্যাধি।বিশেষত শিশু এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এই রোগ ব্যাধি সৃষ্টির প্রবণতা অত্যধিক মাত্রায় দেখা যায়। সম্প্রতি মাস দুয়েক আগে থেকেই বাংলায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত বৈশাখ মাস শুরু না হলেও যে হারে সূর্যের প্রখর তাপমাত্রা মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে তাতে যে কোনো মুহূর্তে মানুষ অসুস্থ হতে বাধ্য।যদি আপনি এই অসুস্থতার

হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী অবশ্যই মেনে চলতে হবে। খাবার-দাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দরকারি শারীরিক নিয়ম অনুসরণ এর পরেই আপনি নিজের শরীরকে সঠিক এবং সবল রাখতে পারবেন।আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা শরীরকে সুস্থ রাখার পাঁচটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বিস্তারিত জেনে নেব।

তাহলে আসুন শুরু করা যাক-
প্রথমেই আমরা এই প্রসঙ্গে বলব বিভিন্ন সবুজ খাদ্যদ্রব্যের কথা। অর্থাৎ শাকসবজি এবং ফলমূল এর প্রয়োজনীয়তা। শরীরকে সবল রাখতে এবং পুষ্টিতে শাকসবজি এবং ফলের গুরুত্ব অত্যধিক।তাই নিয়মমতো প্রতিদিনের খাবারের সাথে প্রয়োজনানুসারে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখুন। দ্বিতীয়ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে জল পান করা। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীর

সুস্থ রাখতে সাহায্য করে জল, এই কারণে জলকে জীবন বলা হয়।শরীরে প্রতিদিন ৪ লিটার জলের প্রয়োজন হয় সেটা সকলেরই মাথায় রাখা উচিত।তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ জল পান করবেন।জলের মধ্যে কোন ক্ষতিকর পদার্থ উপস্থিত থাকলে তা অবশ্যই আপনার শরীরের ক্ষতি সাধন করতে পারে।যেমন আর্সেনিকযুক্ত জল পান করলে শরীরে ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধি সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষতিকর ত্বকের সমস্যা দেখা যায়।প্রতিবেদনের শুরুতে আমরা প্রথমেই বলেছিলাম মানুষের জীবনে বিশ্রামের প্রয়োজন কতখানি। আর এই বিশ্রাম

প্রধানত পাওয়া যায় ঘুমের মাধ্যমে। ঘুমের ফলে আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি মুহূর্তের মধ্যেই কেটে যায়। শুধুমাত্র ক্লান্তি নয় মানসিক অবসাদ কাটানোর জন্য ঘুমের গুরুত্ব অত্যধিক। তাই তৃতীয় নিয়ম হিসেবে বলবো, সব সময় সঠিক সময় মেনে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এবং ঘুমের আগে যতটা সম্ভব নিজেকে টেলিভিশন, মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। কারণ এগুলি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। চতুর্থত একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে শরীরচর্চা। মানুষের সব সময় নিজের শরীরের প্রতি নজর দেওয়া

উচিত। এর জন্য আপনি যোগব্যায়াম থেকে শুরু করে যে কোনো শারীরিক কসরতকারী ব্যায়াম সব কিছুই করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা যেন আপনার স্বাস্থ্যের উপযোগী হয়। এরপর পঞ্চমত এবং সর্বশেষ নিয়ম হিসেবে আমরা এমন একটি বিষয়ের কথা বলব যা শুনলে হয়তো আপনি অনেকটা অবাক হবেন।আর এই পঞ্চম নিয়মটি হল পর্যাপ্ত পরিমাণে হাসিখুশি থাকা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, মানুষের সুস্থ থাকার জন্য খাবার, জল ,শরীরচর্চা, এবং ঘুমের প্রয়োজন ঠিক যতখানি; ঠিক ততটাই প্রয়োজন হাসিখুশি থাকা।তার কারণ যদি

আপনার মন প্রফুল্ল না থাকে তাহলে খুব সহজেই মানসিক অবসাদ আপনাকে ঘিরে ধরবে। যা যে কোন মুহূর্তে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের হানি ঘটাতে হতে পারে। হাসিখুশি থাকার ফলে স্ট্রেস মুক্তি ঘটে এবং মন মেজাজ ভালো থাকে। বর্তমানে অনেক জায়গাতেই লাফিং ক্লাব এর আয়োজন করা হয়েছে এই প্রসঙ্গে। চাইলে আপনিও এই ক্লাবগুলির সহায়তা নিতে পারেন। সব সময় নিজে সুস্থ থাকুন এবং অপরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করুন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *