ইতিমধ্যেই দেশের জম্মু ও কাশ্মীরে বিপুলহারে লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে, এবার আরও একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার দেশে রীতিমতো সোনার ভান্ডারের খোঁজ মিলেছে। ANI-এর খবর অনুযায়ী, জিওলজিক্যাল সার্ভে
অফ ইন্ডিয়া (GSI) তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ওড়িশার তিনটি জেলায় সোনার ভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উপস্থাপিত করেছে। পাশাপাশি, ওড়িশার ইস্পাত ও খনি মন্ত্রী প্রফুল্ল মালিক জানিয়েছেন যে, দেওগড়, কেওনঝড় ও ময়ুরভঞ্জ জেলায় বিপুলহারে সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধেনকানালের বিধায়ক সুধীর কুমার সামালের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিধানসভায় প্রফুল্ল মালিক জানিয়েছেন,
“খনি ও জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (GSI) সমীক্ষায় তিনটি জেলায় মাটির নিচে সোনার উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত, দেওগড়, কেওনঝড় এবং ময়ূরভঞ্জ জেলায় সোনার খনির খোঁজ মিলেছে।” পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে দেওগড় জেলার একটি স্থানে, কেওনঝড় জেলার চারটি স্থানে এবং ময়ূরভঞ্জ জেলারও মোট চারটি স্থানে সোনা মজুত রয়েছে।” যার মধ্যে
দেওগড় জেলার আদাসে, ময়ূরভঞ্জের সুরিয়াগুদা, রুয়ানসিলা, জোশিপুরা ও ধুশুরা পাহাড়িতে এবং কেওনঝড়ের দিমিরিমুন্ডা, কুশকলা, গোটিপুর ও গোপুরে পাওয়া গেছে এই সোনা। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমানে লিথিয়ামের ভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়া গেছে। মূলত, জম্মু কাশ্মীরের রিয়াসিতে পাওয়া গেছে লিথিয়ামের উপস্থিতি। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অনুসারে, ওই এলাকায় ৫৯ লক্ষ টনের লিথিয়ামের
ভাণ্ডার রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায় এই বিপুল পরিমান লিথিয়ামের উপস্থিতির সন্ধান পাওয়ার পর ভারতকে আর এর জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ঠিক সেই আবহেই দেশে মিলল সোনার বিপুল ভান্ডারও। পাশাপাশি, ওড়িশায় সোনা পাওয়ার প্রসঙ্গে প্রফুল্ল মালিক আরও জানিয়েছেন, ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালে এই বিষয়ে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সমীক্ষা করলেও সেইবার কর্তৃপক্ষের তরফে
সমীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। তবে, বিগত ২ বছর ধরে GSI ওই তিনটি জেলায় একটানা সমীক্ষা চালিয়ে গিয়েছে। তারপরেই সোনার উপস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যদিও, ওই তিন জেলায় ঠিক কত বড় সোনার খনি রয়েছে তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। সূত্র: টিভি9