তোকমা নামটির সাথে আমরা কম-বেশি সকলেই পরিচিত। ছোট কারে রংয়ের একটি বীজ হলো তোকমা। এটি প্রধাণত মিষ্টি পানীয় অথবা শরবত তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসারে ব্যপকভাবে পরিচিত তোকমা বীজ। তোকমা স্থানভদে মিষ্টি বাসিল,





ফালুদা বীজ, সবজা বীজ ইত্যাদি নামে পরিচিত। এই বীজটির রয়েছে নানাগুণ ও উপকারিতা। চলুন তবে জেনে নেওযা যাক তোকমা বীজের উপকারিতা: ১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে তোকমা বীজ খু্বই উপকারি। সামন্য পরিমাণে তোকমা বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে অল্প কিছুৃক্ষণ পর





তার সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়ও এটি হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। ২। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত যে তোকমা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। সেই সাথে তোকমা রক্তে ভালো কোলেস্টেরল উৎপন্ন করতে সহায়তা করে থাকে। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট সুস্থ্য রাখতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে থাকে। ৩। ওজন নিয়ন্ত্রণেও তোকমার জুড়ি





মেলা ভার। তোকমাতে কেবলই আঁশই থাকে না, এতে রয়েছে শরীরে শক্তি সরবরাহ করার নানা উপাদান। নিয়মিতভাবে ফলে সাথে ১ মুঠো করে তোকমা খেলে দীর্ঘসময় ক্ষুধা পায় না। আর এই কারণে খুব সহজেই আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য তোকমা ব্যবহার করতে পারেন। ৪। তোকমাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও নানা প্রকার খনিজ লবণ। এটি শরীরের শক্তি বৃ্দ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।





তোকমায় বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ড ক্যান্সার, প্রদাহ ও বাধ্যর্ক প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাক। ৫। গরমকালে এটি খেলে দেহের তাপমাত্রা কমতে সহায়তা করে। একারণে গরমকালে শরবতে তোকমা মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর এই শরবত সুস্বাদু করার জন্য চিনি, মধু ও নারকেল দুধও মিশ্রণ করা হয়ে থাকে। ৬। গ্যাস অম্বল দূর করতে তোকমার জুড়ি মেলা ভার। এটি পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ফলে





গ্যাস জনিত কারণে পেটে জ্বালাপোড়া করে না। এছাড়ও তোকম শরীর হতে নানা প্রকার দূষিত পদার্থ দূর করে থাকে। ৭। শীতকালে সর্দি কাশির হাত হতে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত তোকমা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও ত্বকের নানা প্রকার সমস্যায় তোকমা দারুন কর্যকর। যেমন: চর্মরোগ, একজিমা ইত্যাদি।









