এই ১১টি পদ্ধতি আপনাকে সহায়তা করবে
Image: google

সিগারেট ছাড়তে চাচ্ছে কিন্তু পারছেন না? এই ১১টি পদ্ধতি আপনাকে সহায়তা করবে

সিগারেট পুড়িয়ে ধোঁয়া পান করার অর্থ হল টাকা পোড়ানো। সিগারেটে বিতরাগী মানুষজন এমনটাই মনে করেন। আসলে অর্থ সঞ্চয়ের থেকেও বড়ো ব্যাপার হল সিগারেট ছাড়লে অনেক রোগ বা রোগের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সিগারেট না খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে,

রক্তের কার্বন মনোক্সাইডও স্বাভাবিক থাকবে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে এবং ফুসফুস ভালো থাকবে। কাজেই সিগারেট ছাড়ুন সুস্থ থাকুন। কী ভাবে ছাড়বেন সিগারেট?

১। নিজের মনকে বোঝান ধূমপান ছাড়ার আগে মনকে প্রস্তুত করতে শক্তিশালী কারণ ঠিক করুন। সেই কারণ ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে। ধূমপানের কথা মনে এলেই সেই কারণটিকে দাঁড় করান নিজের মনের সামনে। যেমন ধরুন – নিজেকে বুড়োটে দেখতে লাগছে, তারুণ্য ধরে রাখতে চান, ফুসফুসে ক্যানসার বা মুখের ক্যানসার ইত্যাদির হাত থেকে বাঁচতে চান, প্রিয় কোনো মানুষকে কথা দিয়েছেন ধূমপান ছেড়ে দেবেন ইত্যাদি।
২। লজেন্স খাওয়ার অভ্যাস অনেকের ক্ষেত্রেই ‘একটির বদলে আর একটি’ সূত্র কাজ করে। আসলে দুম করে ধূমপান ছেড়ে দিতে গেলে কী করি কী খাই এমন একটি মানসিক সমস্যা আসতে পারে। তার থেকে হতাশা ও বিষণ্ণতা। তাই সিগারেটের বিকল্প হিসাবে লজেন্স বা চুইংগাম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিগারেট ছাড়ার জন্য বাজারে কিছু চুইংগাম পাওয়া যায়। এগুলি বেশ কার্যকর।

৩। ঠান্ডা স্থান এড়িয়ে চলুন সিগারেটের ভেতরের নিকোটিন নেশা তৈরি করে। একটা সময়ে মস্তিষ্ক নিকোটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই বার বার ধূমপান করতে ইচ্ছা করে। আবার ঠান্ডা স্থান নিকোটিন গ্রহণের ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঠান্ডা জায়গায় গেলে হয়তো আবার ধূমপানের ইচ্ছে মাথা চাড়া দিতে পারে।
৪। মানসিক চাপে অন্য পথ অনেকেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ধূমপান করেন। তা হলে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চাপ কমানোর জন্য ওষুধের সাহায্য নেওয়াই ভালো। সিগারেটকে অবলম্বন করা দীর্ঘমেয়াদে ভুল সিদ্ধান্ত।

৫। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ মানসিক চাপের কারণে অনেকেই ধূমপান করেন। তাই এই চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ম্যাসাজ করান, বই পড়ুন, গান শুনুন, যোগব্যায়াম করুন। চাপমুক্ত থাকলে ধূমপানও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬। মানুষের সহায়তা নিন অনেককেই শোনা যায় অন্যদের ধূমপান বন্ধ করার জন্য উপদেশ দিয়ে থাকেন। তেমন ঘটনা ঘটলে খুবই ভালো। বন্ধুবান্ধব,পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মীদের জানান ধূমপান ছাড়তে চাওয়ার কথা। তারা আরও উৎসাহ জোগাবে। তাদের সামনে কখনও সিগারেট খেতে গেলে তারা মনে করিয়ে দেবে, নিষেধ করবে ফলে উপকার হবে।

৭। বাড়ি পরিষ্কার করার অভ্যেস মনোবিদদের মতে, অন্য কিছুতে মনকে মাতিয়ে রাখলে সাধারণ ভাবে আর একটি ইচ্ছা বা চিন্তা মাথা থেকে সরে যায়। ঠিক একই পদ্ধতি হয় ঘর পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে। মজার মনে হলেও চেষ্টা করে দেখুন। নিজের হাতে বাড়িঘর পরিষ্কার করুন, সাজান, ধোয়াকাচা, রান্না ইত্যাদিতে মনকে আটকে রাখুন। দেখবেন অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা ছাড়াই। অনেকে বলেন, ঘরে সুন্দর গন্ধের এয়ার ফ্রেশনার বা ধূপকাঠি ব্যবহার করলে তার সুগন্ধ সিগারেটের ধোঁয়ার কথা ভুলে যেতে সাহায্য করে।
৮। শারীরিক পরিশ্রম পরিশ্রমের কাজ ধূমপান করার ইচ্ছাকে তাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান করতে ইচ্ছা করলে হাঁটুন, জগিং করুন, ব্যায়াম করুন। এতে মাইন্ড রিফ্রেশ হবে, অতিরিক্ত ক্যালোরিও দূর হবে ও ধূমপানের ইচ্ছা দূর হবে।

৯। ফল এবং শাকসবজি খান ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রচুর পরিমাণ ফল এবং শাকসবজি খেলে সিগারেটের স্বাদ আর ভালো লাগে না। তাই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ফল ও সবজি রাখুন।
১০। অর্থ সঞ্চয়ের ইচ্ছা ভেবে দেখুন, সিগারেট খেলে প্রতি দিন নয় নয় করে অনেক টাকাই খরচ হয়, যেটা অকারণ। সিগারেট ছাড়লে কিছু টাকাও সঞ্চয় হবে। এমনটা ভেবেও সিগারেট ছাড়ার জন্য নিজেকে উৎসাহিত করতে পারেন। ১১। বারবার চেষ্টা যে কোনো কাজেই চেষ্টার কোনো বিকল্প হয় না। ধূমপান ত্যাগের ক্ষেত্রেও তাই। বারবার চেষ্টা করুন। নিজেই নিজেকে সময়ের মাপকাঠি বেঁধে দিন, যে এই সময়ের মধ্যে ধূমপান ছাড়বেনই। প্রতি দিন চেষ্টা করে সেই লক্ষ্য পূরণ করুন।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *