রান্নাঘরের ছোট কৌটা, চালের ড্রামের নিচে, ডিস সেলফের ফাঁক-ফোঁকড়ে, বেসিনের সিঙ্কে তেলাপোকার রাজত্ব। তাদের স্বেচ্ছাচারী চলন বলনে আপনার কাজ করা দায়। খাবার নষ্ট থেকে শুরু করে নোংরা আর গন্ধযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে তারা খুবই পারদর্শী। শোবার ঘরে খাটেরনিচে, কাপড়ের আলমারি সবখানে তেলাপোকার উপদ্রব। অন্ধকার আর খাবার যেখানে মিলবে, সেখানেই থাকবে এই তেলাপোকা। সর্দি বা





হাঁপানি জনিত রোগ সৃষ্টিতেও তেলাপোকাকে দায়ি করা হয়। তাই আপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে দ্রুত ঘর থেকে তেলাপোকা বিতাড়িত করুন।আর এই কাজে আপনার সঙ্গী হবে বেকিং সোডা! তেলাপোকা মারার মূলনীতি!তেলাপোকাদের নির্মূল করাটা যে বেশ দুরূহ তা বিজ্ঞানীরাও স্বীকার করেন। এমনকি বলা হয়ে থাকে তারা পারমাণবিক বিস্ফোরণের মাঝেও টিকে যাবে বহাল তবিয়তে। চিন্তা করে দেখুন তো, এত যে স্প্রে





করে করে তেলাপোকা মারছেন তার পরেও এত তেলাপোকা আসছে কোথা থেকে? একটা মেয়ে তেলাপোকা একবারে ৪০টা করে ডিম দিতে পারে। একটা তেলাপোকা মরলে আরো ৪০ টা তার জায়গা পূরণ করবে। এই দুষ্টচক্র শেষ করতে কি করতে হবে জানেন? এমন ব্যবস্থা করতে হবে যে বড় তেলাপোকার পাশাপাশি বাচ্চাগুলোও মারা পড়ে। এই মূলনীতি থেকেই তৈরি করতে পারেন বোরিক এসিড বা বেকিং সোডার বিষ।





কি কি লাগবেঃ – তিন চা চামচ বেকিং সোডা – তিন চা চামচ বোরিক এসিড – পানি – চিনি যা করতে হবেঃ বোরিক এসিড পেস্ট- বোরিক এসিডকে অনেক আগে থেকেই কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। কিন্তু মানুষের জন্য এটা ক্ষতিকর কোনো পদার্থ নয়। এটা তৈরি করতে হলে যা যা করতে হবে – তিন টেবিল চামচ বোরিক এসিডের সাথে সমপরিমাণ চিনি এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। – বাসার





যেসব জায়গায় তেলাপোকার উপদ্রব বেশি (কিচেন, বাথরুম, স্টোরেজ) সেখানে এই পেস্ট প্রয়োগ করুন।এই পেস্টে চিনি আছে ফলে তেলাপোকা আগ্রহ করে খাবে। খাবার পর এই বোরিক এসিডের প্রভাবে তেলাপোকার শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়বে এবং সে ধীরে ধীরে মারা যাবে। শুধু তাই নয়, এই পেস্ট তার শরীরে লেগে যাবে। সে এটাকে বয়ে নিয়ে যাবে নিজের বাসায়, খাওয়াবে নিজের বাচ্চাকাচ্চাকে ফলে





সেগুলোও মারা যাবে। ভালো ফলাফল পেতে পর পর কিছুদিন ব্যবহার করুন। বাড়ির ত্রিসীমানায় তেলাপোকা থাকবে না।বেকিং সোডা পেস্ট- বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয় কিন্তু) ঘরোয়া অনেক কাজে ব্যবহৃত হয় এবং এটা তেমনি আরেক ব্যবহার। যেভাবে বোরিক এসিডের পেস্ট তৈরি করেছিলেন ঠিক সেভাবেই সমপরিমাণ বেকিং সোডা, চিনি এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং বাড়ির আনাচে কানাচে প্রয়োগ





করুন। বোরিক এসিড পেস্টের মতই একই উপকার পাবেন। তবে সাধারণ রাসায়নিক স্প্রে এর মত দ্রুত কাজ করবে না। একটু ধীরেসুস্থে কাজ করলেও অনেক লাভ হবে। বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডারের মূল উপাদান একই, সোডিয়াম বাই কার্বনেট। তবে বেকিং পাউডারে আরও কিছু পদার্থ মেশানো হয়ে থাকে। খুব সহজ ভাবে বললে বেকিং পাউডারের চাইতে বেকিং সোডা বেশি সক্রিয় বা কার্যকরী। বেকিং পাউডার দিয়েও এই বিষ তৈরি করা যাবে। তবে প্রয়োগ করতে হবে বারবার, আর একটু দীর্ঘ সময় লাগবে কাজ হতে









