ঘরোয়া উপায়ে সিস্ট সারিয়ে তোলার পদ্ধতি!
Image: google

ঘরোয়া উপায়ে সিস্ট সারিয়ে তোলার পদ্ধতি!

শরীরের যে কোন স্থানে সিস্ট Cysts হতে পারে। সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। সিস্ট Cysts সাধারণত হয়ে থাকে ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোন উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে। শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয়

সিস্ট Cysts এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।কখনো কখনো এরা ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে Cysts pain সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে।কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পারে।সিস্ট যদি আভ্যন্তরীণ

অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোন লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না। কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে। ত্বকের এই সিস্ট Cysts ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট Cysts ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক..

১। অ্যালোভেরা: দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের Cysts উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।
২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: সিস্ট Cysts থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের pH এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোন ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।

৩। হলুদ: সিস্ট Cysts দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।
৪। মধু: সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপঅত্যন্ত কার্যকরী। গম ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের Cysts উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেখতে পাবেন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *