নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষদের থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন
Image: google

নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষদের থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন!

নারীদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে একেবারে আলাদা। ঠিক যেমন আলাদা তাদের শারীরিক গঠনও৷ সেই কারণে সতর্ক সংকেত গুলো জানা উচিত সব মহিলার, এমনকি পুরুষদেরও। আর সচেতন হওয়া উচিৎসকলের।হৃদবিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব নারীর বাহুতে বা পিঠে ব্যাথা

বা বমিভাব হয় তারা প্রথমে মনে করেন না যে তাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আবার এরপর ইমার্জেন্সি পরিচর্যায় গেলে চিকিৎসকেরাও অনেক সময় ঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেন না।ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের হৃদবিশেষজ্ঞ মায়ং এইচ পার্ক বলেন, হার্ট অ্যাটাকের সচরাচর উপসর্গ হল, বুকে প্রচণ্ড চাপ বা বুকের মধ্যখানে মোচড়ানো বা ছুরিবিদ্ধ করার মতো প্রচণ্ড ব্যথা, বুকের বাঁ

দিকেও হতে পারে আবার সারা বুকেও হতে পারে। কিন্তু নারীদের বেলায় উপসর্গ অন্য রকম হতে পারে। যদিও বেশির ভাগ নারীর অভিজ্ঞতা হয় বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, অনেকের তা হয় না। ৪৩ শতাংশ নারীর এমন অভিজ্ঞতা হয় না দেখা গিয়েছে। সাধারণত মহিলাদের যেসব উপসর্গ হয় ১. শ্বাসকষ্ট ২ দুর্বলতা বোধ ৩. অস্বাভাবিক ক্লান্তি আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে, যেমন—বমিভাব, মাথা

ঝিমঝিম, নিচ বুকে অস্বস্তি, ওপর পেটে চাপ বা অস্বস্তি, বদহজম, ও পিঠে ব্যথা। অনেকে একে বদহজম, বুকজ্বালা বা আর্থ্রাইটিস বা মনের চাপ বলে ভ্রম করেন। তাই সতর্ক হতে হবে নারীদের। আজকাল নারীরা ঘরে-বাইরে অনেক কাজ করেন, অনেক দায়িত্বপূর্ণ কাজ, চাপের কাজও করেন। নিজেকে অবহেলা করাও তাঁদের অনেকের বৈশিষ্ট্য। বদহজম হলে, সে সঙ্গে বুকে- পেটে অস্বাভাবিক উপসর্গ, যা আগে হয়নি, এমন হলে জরুরি বিভাগে যাওয়াই ভালো। সংসার, চাকরি, অনেক সময় অন্যের পরিচর্যা এসব করতে গিয়ে

অনেক নারী নিজে অসুস্থ বোধ করলেও নিজের প্রতি খেয়াল নিতে ভুলে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে হার্টের রক্তনালি অবরোধ হলে একে উন্মুক্ত করার জন্য চিকিৎসা আছে, কিন্তু নারী যত দেরি করবেন কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে আসতে, হৃদপেশির ক্ষতি হবে তত বেশি, হার্ট নিষ্ক্রিয় হওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকিৎসক যাঁরা নারীদের হার্ট অ্যাটাক উপসর্গ সম্বন্ধে ততটা অভিজ্ঞ নন বা পরিচিত নন,

তাঁরা হার্ট অ্যাটাককে এড়িয়ে যেতে পারেন। নারীদের হার্ট অ্যাটাক পুরুষদের তুলনায় চিহ্নিত হয় কম, গবেষকদের ভাষ্য। এভাবে জরুরি প্রতিবিধানও এড়িয়ে যান। তাই নারী নিজে চিকিৎসকের কাছে খোলাখুলি বলবেন, হার্ট অ্যাটাক সন্দেহ হলে তাও বলবেন। অন্তত সামান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ভালো এবং চিকিৎসাও। যেমন—অক্সিজেনের নিচে রাখা, এসপিরিন বড়ি, রক্ত পরীক্ষা (ট্রপোনিন, সিপিকে) ইসিজি এবং পৌঁছানোর মিনিট কয়েকের মধ্যে কার্ডিয়াক মনিটরে রাখা। প্রয়োজনে কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ মেওয়া দরকার।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *