হার্ট (Heart) হল শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি রক্তকে পাম্প করে শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে দেয়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের হার্টের খেয়াল রাখা। যদিও মহিলাদের হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিশেষত, মেনোপজের (Menopause)





আগে মহিলাদের হার্টের সমস্যা হয় না বললেই চলে। কারণ এই সময়টায় মহিলাদের শরীরে এমন কিছু হর্মোন কার্যকরী থাকে যা হার্টকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও মহিলাদের এমনিতেও হার্টের সমস্যা হয় কম। তবে কয়েনের উলটো পিঠও রয়েছে। এক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের





হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি থাকে হার্ট ফেলিওরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা। এছাড়া একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাই মহিলাদেরও এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার পথ জানতে হবে।





এক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডর যত্ন রাখার ক্ষেত্রে মহিলারা এই ভুলগুলি করেন-





১. ধূমপান ভারতে মহিলাদের মধ্যে ধূমপান (Smoking) যথেষ্ট কম। তবে বর্তমানে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই ফল ভোগ করছে হার্ট। এক্ষেত্রে ধূমপানের প্রভাবে কম বয়সেও মহিলারা হৃৎপিণ্ডর সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।
২. ব্যায়াম একটি মহিলা সারাদিনে অনেক দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁরা নিজেদের জন্য সময়ই খুঁজে বের করতে পারেন না। এই কারণে ব্যায়ামও (Exercise) করা হয় না। আর এই ব্যায়ামের অভাবে শরীরে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা।





৩. ওজন ঠিক না রাখা বহু মহিলাই নিজের ওজনের ব্যাপারে ভীষণই উদাসীন। ফলে অনেকেরই ওজন থাকে বেশি (Obesity)। বিশেষত, বয়স বাড়লে ওজন বাড়ে। আর ওজন বাড়লে বাড়ে হার্টের রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা।
৪. ঘুম ও দুশ্চিন্তা মহিলাদের জীবনে হরেক রকম দুশ্চিন্তা (Stress)। তাঁরা একাধিক সমস্যা নিজেদের মনে বয়ে নিয়ে চলেন। ফলে দেখা দেয় সমস্যা। এই কারণে শরীরে এমন কিছু হর্মোন বেরয় যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এছাড়া ঘুম না হওয়াও এক্ষেত্রে মস্ত বড় অনুঘটক হতে পারে। তাই দিনে ৭ ঘণ্টার শান্তির ঘুম খুব প্রয়োজন।





৫. হেলথ চেকআপ মহিলারা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন আমল দেন না। তার ফলে হেলথ চেকআপের কোনও বালাও নেই। এবার শরীরে কোনও সমস্যা বাসা বাধলেও চেকআপ না করার কারণে রোগ সম্বন্ধে জানা যায় না।
৬. লক্ষণ না দেখা হার্টের সমস্যার লক্ষণ প্রথমেই খুব জোরদারভাবে দেখা দেয় না। এক্ষেত্রে বুকে সামান্য ব্যথ, বমি পাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদে তা ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেকেই এই লক্ষণগুলিকে তেমন আমল দেন না। ফল ভোগ করে শরীর।









