বিশেষ করে বংশানুক্রমে এই রোগ বাহিত হয় বলে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়। ক্যানসার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই তার চিকিৎসায় সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। ক্যানসার রোগটার নাম শুনলেই ভয় আঁতকে উঠতে হয়। পরিবারের কেউ এই রোগের শিকার হয়েছে শুনলে যেন মাথায়
বাজ পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। বিশেষ করে বংশানুক্রমে এই রোগ বাহিত হয় বলে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়।ক্যানসার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই তার চিকিৎসায় সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।ক্যানসারের একদম প্রথম পর্যায় বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখলেও আন্দাজ করা যায় সে গুলি এড়িয়ে না গিয়ে দেখে নিন-
১) মাথার যন্ত্রণা হলে সব সময়ে ভাববেন না চোখের সমস্য়া, সাইনাস বা মাইগ্রেন। সব সময়ে এমনটা কিন্তুউ হয় না। প্রায়ই মাথার যন্ত্রণায় ভুগতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাথার যন্ত্রণা ব্রেন টিউমরের ইঙ্গিত দেয়।
২) প্রায়ই কি গ্যাসের সময়ে কষ্ট পেতে হয়! অনেকেই মনে করেন খাবার হজমের কারণেই এমন হয়ে থাকে। কিন্তও এই লক্ষণ বলে দিতে পারে আপনি ওভারির ক্যানসারে আক্রান্ত কি না।
৩) শরীরে প্রায়ই কি লাল র্যাশ বেরোয় এবং চুলকুনি হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলি পোকার কামড় বা অ্যালার্জি বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত এগুলি হতে থাকলে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সমস্যা ব্লাড ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়। ব্লাড ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণই হল শরীরে লাল, বেগনি, ব্রাউন র্যাশ।
৪) হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে তা এড়িয়ে যাবেন না। অস্বাভাবিক ভাবে হঠাৎ ওজন কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ওজন কমে যাওয় স্টমাক ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
৫) মহিলারা প্রায়ই লক্ষ্য করবেন স্তনবৃন্তের খুব বেশি ভিতরে ঢুকে গিয়েছে বা আকৃতিতে পরিবর্তন হয়েছে কি না। এটিও কিন্তু ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
৬) অণ্ডকোষের আকৃতি হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে বা ফুলে গেলে সাবধান হোন। এই ধরনের সমস্যা ফেলে না রেখে শীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭) হঠাৎ হঠাৎ পা ফুলে যাওয়া কিন্তু সবসময়ে ছোট সমস্যা না-ও হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা লেগে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যান।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।