আমড়া একটি দেশীয় ফল। এর স্বাদ অম্ল ও কষযুক্ত। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় অংশ, ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও অল্প কিছু পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে, ভিটামিন সি ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, র্শকরা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১.১ গ্রাম, ক্যাল সিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং অন্যন্য খনিজ উপাদান।





আমড়ার রয়েছে নানা প্রকারপুষ্টিগুন যা শরীরে জন্য দারুন উপকারি। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক আমড়ার উপকাতিরগুলো:
আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলে মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এবং শরীরে পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।





এই ফলটিতে রয়েছে পেকটিন জাতীয় ফাইবার যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। সেই সাথে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ক্যান্সারসহ অন্যন্যা রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে।





ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনীসহ অনেক রোগ হতে পারে। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমড়া খাওয়া যেতে পারে।
ত্বকের ব্রণ কমাতে এবং ত্বক সুস্থ্য ও উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুন উপকারি একটি ফল। আমড়ার ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্যে করে থাকে।





রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে আমড়ার জুড়ি মেলা ভার। আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখতে সহায়তা করে থাকে।
আমড়া বিভিন্না ভাইরাসের আক্রমন হতে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে এবং সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। তাই আমড়ার মৌসুমে প্রতিদিন খেলে আপনি সহজে নানা প্রকার রোগের আক্রমণ হতে সহজেই রক্ষা পেতে পারেন।





আমড়ার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সহজেই ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সহায্যে করে থাকে। ফলে আপনি অতি সহজে সুস্থ্য জীবন যাপন করতে পারবেন। অসুস্থ্য ব্যক্তিদের মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে আমড়া অতুলনীয়। আমড়ার রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই আমড়া খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।









