image: google

ঘরোয়া উপায়ে মাত্র ২ দিনে ফুসফুসের সব দূষিত পদার্থ দূর করুন

দিনে দিনে বাড়ছে দূষণের পরিমান সেই সাথে বাড়ছে ফুসফুসের নানা রোগ ব্যধি। শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সাথে শরীরে প্রবেশ করে বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণা, সীসাসহ আরও অনেক কিছু। যার কারণে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যা’ন্সার।

যদিও যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশিই থাকে। তবে ধূমপান করুন আর নাই করুন, আপনার ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে এই দূষণের কারণে।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে যে আপনি চাইলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় বা দুদিনে ফুসফুসের সব ময়লা পরিস্কার করতে পারেন। এই ময়লা পরিস্কারের নানা উপায় রয়েছে। ফুসফুসকে সতেজ রাখতে তেমনই কিছু মুশকিল আসান রয়েছে আপনার জন্য। এর মধ্যে হতে আপনার সুবিধামত যেকোন দুটি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। তাহলে আপনার ফুসফুস সুস্থ্য থাকবে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসের ময়লা পরিস্কার করার উপায়:

১। ২/৩ দিনের জন্য দুধ জাতীয় খাবার একবারে বাদ দিতে হবে। এমনকি চা কফিও খাওয়া যাবে না।
২। রাতে ঘুমানোর আগে গরম গরম এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিবেন।

৩। সকালে ঘুম হতে উঠে উষ্ণ জারে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ‍ফুসফুসের সকল দূষিত ময়লা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
৪। যদি সম্ভব হয় তাহলে সকালের নাস্তায় আনারসের জুস খাবেন।

৫। গাজর বর্তমান সময়ে সারা বছরই পাওয়া যায়। সকালে নিয়মিত গাজরের জুস খেতে পারেন। এর ফলে রক্তে অ্যালকালাইজড হবে। যা ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারি।
৬। দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খাবেন। কলায় থাকা পটাশিয়াম ফুসফুস পরিস্কারের প্রক্রিয়াকে সহজতর করে থাক।

৭। রাতে ক্যানবেরির জুস পান করুন। ফুসফুসের আশ্রয় নেওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে থাকে এই জুস।
৮। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। ব্যয়াম কররে ঘন ঘন শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে ফুসফুসের সঞ্চালন দ্রুত হয়। এতে ফুসফুস স্বাভাবিক হতে থাকে।

৯। ফুসফুসের সকল ময়লা দূর করতে হলে স্টিম বাথ নিন। ঘামের সাথে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
১০। এবার মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। যদি সম্ভব হয় পানিতে দু ফোটা ইউক্যালপিটাসের তেল ফেলে দিন। এই পদ্ধতিতেও ফুসফুস হতে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যায়।
সূত্র: হেলদিফুড

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *