ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবর হতে সব সময় সর্তক থাকতে বলা হয়। কেননা যে কোন খাবারই কাওয়া যাবে তবে তা হতে হবে পরিমিত পরিমাণে, অনেকে রয়েছে মুখের স্বাদে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের টাইপ ও ওজন অনুসারে ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে চলতে হবে। তা না হলে বেড়ে যাবে সুগারের পরিমাণ।





প্রকৃতিতে এমন কিছু সব খাবার রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। তবে সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে এই সব খাবারের মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সব খাবার সর্ম্পকে বিস্তারিত:





১। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ডাল, শিম, হোল, গ্রেইন, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হয়ে তাকে। যারফলৈ রক্তে সুগার দ্রুত বেড়ে যাবার ঝুঁকি থাকে না। বার্লি, কাঠ বাদাম ও ওট মিলের মত খাবারগুলো এ প্রক্রিয়াতে খেলে সহজেই আপনি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তাহলে আপনাকে ইনসুলিনের মত ঝামেলা পোহাতে হবে না।





২। সবুজ শাক সবজি: প্রতিটি মানব শরীরের জন্য সবুজ শাক সবজি খুবই উপকারি। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই সবুজ শাক সবজি আরও বেশি কার্যকর। তবে কাঁচা ও সেদ্ধ সবজি খাওয়াই উত্তম। তবে মিষ্টি কুমড়া, আলু পরিমাণে কম খাবেন।





৩। দারুচিনি: ডায়াবেটিস রোগীদের দারুচিনি খেলে ফাস্টিং রক্ত সুগার কম হয় । তা ছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য এটি কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে বিভিন্ন খাবারের উপরে কিছুটা দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে খেতে পারেন। তবে দারুচিনি খেলে যে সাথে সাথে আপনার সুগারের মাত্রা কমে আসবে তা কিন্তু নয়।





৪। ফল: প্রকৃতিতে এমন কিছু ফল রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। তবে এসব ফল হতে হবে মিষ্টি নয় এমন। যেমন: কাঁচা পেঁপে, ডাব, নারকেল, ক্যানবেরির জুস। এই ফলগুলো রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে।









