কাজে’র তাগিদে কিংবা ছুটি কাটাতে বাড়ি ছে’ড়ে অন্য কোথাও গেলে থাকার জন্য একমাত্র হোটেলই ভরসা। কমদামি বা বেশি দামি, সব হোটেলেই কিন্তু কিছু নির্দি’ষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সে স’ঙ্গে অনেকেই হোটেলে থাকতে গিয়ে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার মাশুল গুনতে
হয় বিশাল পরিমাণের। স্মা’র্টার ট্রাভেল এমন কিছু সচরাচর ভুল নিয়ে একটি প্র’তিবেদন করেছে। হোটেলে অব’স্থানের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো যেন কখনোই না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত আমাদের সবার। চলুন তবে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে আবাসিক হোটেলে উঠে ভুলেও এসব কাজ করা যাবে না। তা না হলে হিতে বিপরীত হবে। ১. রিমোট ক’ন্ট্রোল ব্যবহার করবেন না : হোটেলটি সুলভ বা বিলাসবহুল
যেমনই হোক না কেন, এতে জী’বাণুর উপ’স্থিতির সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জা’না গেছে। আর এসব জী’বাণুর একটি বড় অংশ থেকে যায় টেলিভিশনের রিমোট ক’ন্ট্রোল। ঘরদোর যতই ঝেড়ে পরিপাটি করা হোক, রিমোট কিন্তু সেভাবে পরি’ষ্কার করা হয় না। কাজেই এতে জী’বাণু বহাল তবিয়তে রয়ে যায়। সুতরাং সা’বধান! ২. মূল্যবান জিনিস রুমে রাখবেন না : মূল্যবান জিনিসপত্র অনেকেই
হোটেলরুমের গো’পনীয় কোনো একটি জায়গায় রেখে দেন। এটি চরম ভুল। হোটেলরুম থেকে চু’রি ক’রতে যারা ওস্তাদ, তারা কিন্তু ওই সব ‘গো’পন’ জায়গার হদিস আপনার চেয়ে ভালো জানে! সুতরাং একটু পয়সা খরচ করে ক’র্তৃপক্ষের লকারে নিজে’র মূল্যবান জিনিস রেখে দিন। নি’রাপদ থাকবেন। ৩. ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন : দরজা লা’গিয়ে দিলেই কিন্তু হলো না। যতক্ষণ না ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সাইন বাইরে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ যে কেউ এসে উটকোভাবে আপনার ব্য’ক্তিগত …. বাদ সাধতে পারে। আবার ঘর পরি’ষ্কারের চিন্তা থাকলে সেটি
সরিয়ে ফেলুন। কারণ, ওই সাইন ঝোলানো থাকলে হোটেলের পরিচ্ছন্নতাক’র্মীরাও আপনার ঘরের আশপাশে ঘেঁষবে না। ৪. রুম নম্বর বলবেন না : যেখানে সেখানে বা চেক-ইনের সময় আপনার হোটেলের রুম নম্বরটি নিজে উচ্চারণ করবেন না। দুষ্কৃত….কারীরা এসব তথ্যের জন্যই মুখিয়ে থাকে। এ বিষয়টি যতটা পারেন গো’পন রাখু’ন, নতুন পরিচিত কাউকেই রুম নম্বর জা’নাতে যাবেন না। ৫. চট করে দরজা খুলবেন না : দরজায় কড়া নাড়া হলো আর কিছু না বুঝেই বললেন, ‘কাম ইন।’ এই বিশাল ভুলটি কখনোই ক’রতে যাবেন না। হোটেল কিন্তু দিন
শেষে কখনোই তেমন নি’রাপদ জায়গা নয়। সুতরাং পরিচয় জে’নে তার পরে দরজা খুলুন। মনে রাখবেন, অচেনা জায়গায় অচেনা কেউ তো আপনার স’ঙ্গে দেখা করার কথা নয়। কাজেই সা’বধান। আর সব সময় দরজা লা’গিয়ে রাখতে ভুলবেন না। ৬. হোটেলের মিনিবারের পানীয় নয় : কোমল কিংবা ক’ঠিন, যেমন পানীয়ই খান না কেন, সেটি হোটেলের মিনিবার থেকে খেতে যাবেন না। কারণ, সাধারণত হোটেলের মিনিবারগুলোতে পাঁচ টাকার খাবারের দাম অ’ন্তত ৫০ টাকা রাখা হয়! শেষে দেখবেন, আপনার রুম ভাড়ার চেয়ে মিনিবারের বিলই গুনতে
হচ্ছে দ্বিগুণ-তিন গুণ! ৭. ছারপোকায় সা’বধান : যত বিলাসবহুল কক্ষই হোক আর সুসসজ্জিত বি’ছানা হোক, ছারপোকা ঠিকই জানে কীভাবে নিজে’র জায়গা করে নিতে হয়। কাজেই এ ব্যাপারে ভালোমতো তল্লা’শি চালান, ছারপোকার সামান্য আনাগোনা দেখলেই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেওয়ার জন্য ক’র্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। কারণ, এই ছারপোকা কেবল আপনাকে কা’মড়াবে তা-ই শুধু নয়, আপনার স’ঙ্গে সওয়ার হয়ে আপনার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অবলীলায়। ৮. কলের পানি খাবেন না : এক ব্রিটিশ দম্পতি লস অ্যাঞ্জে’লেসে বেড়াতে এসে
ট্যাপ বা কল থেকে পানি পান করেন। সেই পানিতে কেমন যেন বিচিত্র স্বাদ, এমন স্বাদের পানি নাকি তারা কখনোই খাননি। পরে অনুসন্ধানে জা’না গেল, হোটেলের জলাধারে একটি মৃ’তদে’হ! কার ভাগ্যে কী থাকে, তা তো আর বলা যায় না। সুতরাং ভুলেও কিছু টাকা বাঁ’চানোর জন্য হোটেলরুমের কলের পানি খাবেন না। ভরসা রাখু’ন দোকান থেকে কেনা মিনারেল ওয়াটারের বোতলে।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।