একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতে সক্রিয় কারি পাতা!
Image: google

একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতে সক্রিয় কারি পাতা!

ভারত ( বিশেষত দক্ষিণ ভারতে) ও শ্রীলঙ্কায় প্রাপ্ত, মূলত রান্নার মশলার অন্যতম উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত এক ধরণের গাছের পাতা হল কারিপাতা।ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন তরকারিতে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় বলে একে

কারিপাতা (Curry) বলে। এই পাতার গন্ধের জন্য বিখ্যাত।এর ব্যবহারে রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে এক অনন্য গন্ধও যুক্ত হয়।নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

1. ওজন কমায়: কারিপাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করল বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে।
2. ডায়রিয়া নিরাময়: সকাল-বিকাল বাইরে খাওয়ার অভ্যাস? তাহলে পেট ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত কারি পাতাও থাওয়া উচিত। আসলে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতেও এই

প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে কারি পাতার অন্দরে উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালয়েড নামক উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
3. মর্নিং সিকনেস: মর্নিং সিকনেস এবং সর্দির হাত থেকেও কারি পাতা বাঁচায়। কারি পাতা খেলে বমিভাব কমে। এবং কারি পাতার নিজস্ব গন্ধ শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।

4. ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে: কারি পাতায় উপস্থিত ফেনলস নামক একটি উপাদান, লিউকোমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
5. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খাওয়া খুব ভালো। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-র প্রভাবেই চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে বলে অনেকে দাবি করেন। স্বাস্থ্যকর চুল: চুল পড়ার হাতা থেকেও মুক্তি দেয় কারিপাতা। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না।

6. ক্ষত নিরাময় করে: কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সেদ্ধ জল চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়। কারি পাতা বাটা খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।
7. হার্টের জন্য ভালো: কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

8. অ্যানিমিয়া নিরাময়: ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন দাপাদাপি করার সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২ টো কারি পাতা খেলেই উপকার মেলে।
9. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এখানেই শেষ নয়, কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *