শিশুর সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের লিস্ট (আপডেট)
Image: google

শিশুর সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের লিস্ট (আপডেট)

শিশুর জন্মের পরে প্রথম দিন থেকে শুরু করে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। কেননা এ সময় মায়ের বুকের দুধের মধ্যেই শিশু তার পুষ্টির সব উপাদান পায়। বুকের দুধের মাধ্যমেই শিশুর পুষ্টির চাহিদা মিটে থাকে, যা তার শারীরিক এবং মানসিক বর্ধন ও

বিকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। একে ‘এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং’ বলে। ছয় মাসের পর থেকে শিশু মায়ের দুধের পাশাপাশি তার পুষ্টির চাহিদা মেটাতে খাবারের আরেকটা ধাপে উন্নীত হয়। এ সময় শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া শুরু করা যেতে পারে। শিশুর

শারীরিক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য এ বাড়তি খাবার ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে। আপনার শিশুর জন্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার খাবার তৈরি করতে নিচের ভাবনা গুলো বিবেচনা করতে পারেন।

১. সকালের খাবার-
জাউ অথবা গরুর দুধ দিয়ে মিশ্রিত চিনিমুক্ত সিরিয়াল (চাল, গম, ভুট্টা ইত্যাদি শস্যদানা) অথবা চটকানো পাকা ফলের সাথে শিশু যে দুধ

খায় তার মিশ্রণ দুধের সাথে সম্পূর্ণ বিস্কুট ও ভাপে সিদ্ধ করা ফল চটকানো কলার সাথে টোস্ট সিদ্ধ ডিম, চটকানো কলা ও অন্যান্য ফলের টুকরো ভাপে সিদ্ধ করা আপেল, দই ও চিনিমুক্ত সিরিয়াল

২. দুপুরের খাবার-
জাউ ভাত এবং চটকানো সেদ্ধ আলু নরম করে সেদ্ধ সবজি এবং চটকানো পাকা ফল নরম করে সেদ্ধ মাংসের কিমার সাথে ডালের মিশ্রন

টোস্টের সাথে সিদ্ধ মটরশুঁটি (লবণ ও চিনির পরিমাণ কমানো) সিদ্ধ ফল ও কাস্টার্ড টোস্ট, চাপাতি অথবা রুটির সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুমের মিশ্রণ পনিরের চাটনির সাথে রুটি ও শসা, গাজরের টুকরো

৩. রাতের খাবার চটকানো-
মিষ্টি আলুর সাথে চটকানো ছোলা ও ফুলকপি ভাত, চটকানো মটরের সাথে শসার টুকরো ভাতের সাথে চটকানো সিদ্ধ ডাল কিমা করা মুরগির মাংস, সাথে চটকানো আলুর সাথে সবজির ঝোল চটকানো মাছের সাথে ও মটর দুধে পোচ করা মাছের সাথে আলু, ব্রকলি ও গাজর ফল ও শাকসবজি

শিশুকে ফল ও শাকসবজি গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন-
শিশুর প্রিয় সবজি অথবা ফল দিয়ে পিজা বা এরকম কিছু বানিয়ে দিতে পারেন। হালকা খাবার বা নাস্তার জন্য গাজর, টম্যাটো অথবা খোসা ছাড়ানো আপেলের টুকরো দিতে পারেন। কাটা অথবা চটকানো সবজির সাথে ভাত, চটকানো আলু কিংবা ডাল মিশিয়ে দিতে পারেন। তাজা,

অথবা সিদ্ধ ফলের সাথে দই কিংবা ক্রীম পনির মিশিয়ে সুস্বাদু মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার তৈরি করতে পারেন। টুকরো করা আলুবোখারা বা শুকনো আখরোট, দই বা সিরিয়ালে মিশিয়ে দিতে পারেন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *