হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়ার অনিয়মসহ অস্বাস্থ্যকর জীবনের প্রভাব পড়ছে রক্তে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবোরে থাকা ক্ষতিকর চর্বি ও চিনি তো আছেই! মূলত এসবই জটিল সব রোগের জন্য দায়ী। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও
মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন।অতিরিক্ত কোলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হার্ট ব্লক হয়ে থাকে। চিকিৎসকের ভাষায় একে ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’ বলে। যাকে আমরা সাধারণত হার্ট ব্লক বা হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া বলে থাকি। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী সরু
হয়ে যাওয়া বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তের সঙ্গে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে। এসব কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই। জানেন কি? হার্ট সুস্থ রাখতে ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ রাখতেই হবে। এজন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি বাইরের খাবার বাদ দিয়ে বরং
ডায়েটে রাখুন একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। হার্ট সুস্থ রাখতে এর জুড়ি নেই। ম্যাজিক পানীয় ম্যাজিক পানীয় হার্ট ব্লক থেকে বাঁচতে ম্যাজিক পানীয়টি তৈরি করতে যা প্রয়োজন… আপেল সিডার ভিনেগার, লেবুর রস, আদা-রসুন থেঁতো ও মধু দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন এই পানীয়। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে অন্তত তিনবার খাবার খাওয়ার আগে আধা কাপ পানির
সঙ্গে মিশিয়ে চার-পাঁচ চামচ এই মিশ্রণ মিশিয়ে খেয়ে নিন।ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. শশীকান্ত শেঠের মতে, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার অন্যতম এক ঘরোয়া দাওয়াই হলো এই পানীয়টি। এই পানীয়টি ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি। আপেল সিডার ভিনেগারের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা রয়েছে! এটি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তেমনই রক্তে শর্করার
মাত্রাও কমায়।অন্যদিকে, আদা ও রসুনও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মধু রক্তে কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। ফলে এই মিশ্রণের প্রভাবে হার্টের ক্ষতি অনেকটাই রুখে দেয়া যায়। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা ও জ্ঙ্ক ফুড না খাওয়া উচিত।