ঘি (ghee) আসলে সম্পৃক্ত চর্বি, ইংরেজিতে যা ক্ল্যারিফায়েড বাটার (Clarified Butter) নামে পরিচিত। এর প্রায় পুরোটাই চর্বি। প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশই হলো চর্বি।





বাকি ০.১ শতাংশ হল জলীয় দ্রবণ যা চর্বিতে দ্রবণীয়। সম্পৃক্ত চর্বি হওয়ায় এটি বাইরের সাধারণ তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়।গরুর দুধ দিয়ে দেশি ঘি বানাতে হয়। এটি দোকান থেকে কেনা ঘি এর তুলনায় কোন অংশেই কম স্বাদের হয় না। এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও নানা





পুষ্টি উপাদান৷ মূলত শীতকালেই এটি খাওয়া ভালো। তবে গরম কালেও এটি খাওয়া যায়। এটি আমাদের দেহের নানাবিধ উপকার করে থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-





যেভাবে বানাবেন দেশি ঘিঃ
১. প্রতিদিন দুধ ফুটানোর পর ৩-৪ ঘন্টা রেখে দেবেন। দুধে এ সময় নড়াচড়া করবেন না।
২. দুধের ওপর যে সর পড়বে তা সাবধানে সংগ্রহ করে এক বাটিতে রাখবেন। সর ভরা বাটিটি ফ্রিজে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।





৩. সরগুলো কয়েকদিন রাখলে জমে শক্ত হয়ে যাবে। একবাটি সর হলে সেগুলো নিয়ে পিষে ফেলুন। শিল পাটায় বা ব্লেন্ডারে কাজ করা যাবে। এ অবস্থায় একে বাটারমিল্ক বলে। এটি নানা খাবারে ব্যবহার করা হয়। তবে তা থেকে ঘি বানাতে হলে আপনাকে আরো কিছু কাজ করতে হবে।





৪. একটি তলা যুক্ত পাত্রে অল্প আঁচে বাটা সরগুলো দিন। এতে তা ধীরে ধীরে গলতে থাকবে। এটি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
৫. অল্প আঁচে নাড়তে থাকলে কিছুক্ষণ পর সোনালী বর্ণের তেলের মত তরল পাত্রের উপর ভাসতে থাকবে। এটিই ঘি। রং পরিবর্তন হতে থাকলে তা নামিয়ে নিন, লক্ষ রাখবেন যেন পুড়ে না যায়।





৬. একটি পরিষ্কার ছাকনি ব্যবহার করে পাত্র থেকে তরল ঘি আলাদা করুন। অবশিষ্ট অংশগুলোও ফেলনা নয়। সেগুলো মিষ্টি সহ বিভিন্ন খাবারে ব্যবহৃত হয়।
৭. আলাদা করার পর ঘি ঠান্ডা করে পরিষ্কার বোতলের ঢাকনা দিয়ে রাখুন।









