বছরের অল্প কয়েক মাস শীতের কাপড় ব্যবহার করা হয়। এ কারণে শীতের পোশাকসহ লেপ-কম্বল আবদ্ধভাবেই সংরক্ষণ করা হয়। ফলে এতে গন্ধ বা স্যাঁতস্যাঁতেভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই শীতের শুরুতে এসব কাপড় রোদে দিতে হবে। রোদে দিলে কাঁথা, কম্বল ও
লেপ বেশ ঝরঝরে হয়ে ওঠে। এখনই যদি কম্বল বা লেপের ব্যবহার শুরু না করতে চান তাহলে রোদে দিয়ে হাতের কাছেই রাখতে পারেন, প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করা সহজ হবে। খুব বেশি শীত পড়লে রোদের তেপ কমে যায়। তাই আশানুরূপ রোদ পাওয়া যাবে না। ফলে এটাই শীতের কাপড় রোদে দেয়ার সময়। পরিধেয় পোশাকের ক্ষেত্রে তিনি একইভাবে পদক্ষেপ গ্রামে করার পরামর্শ দেন।
স্যাঁতস্যাঁতেভাব দূর করতে শীতের শুরুতে কাপড় রোদে দিয়ে নিতে হবে। শীতের পোশাক যেমন- সোয়েটার, জ্যাকেট, মোটা ট্রাউজার বা অন্যান্য ভারী কাপড়গুলো নামিয়ে পরিষ্কার করে নেয়া ভালো। পরে রোদ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাছাড়া এখনই গুছিয়ে রাখলে পরে ঠান্ডা বেশি পড়লে সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যাবে। এই বছর শীতের পোশাকের যত্ন অন্যান্যবারের চেয়ে আলাদা হওয়া
প্রয়োজন। কারণ এবার একেই শীতের কাপড় বারবার ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা বাইরে থেকে এসেই পরনের পোশাক ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেই। তবে শীতের পোশাক ভারী হওয়ায় তা প্রতিদিন ধোয়া সম্ভব না।সেক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, মানুষ চলাচল করে না ঘরের এমন অংশ ( আলো আসে এমন স্থান হলে ভালো) ২৪ ঘন্টা পরিহিত পোশাক ঝুলিয়ে
রাখা যেতে পারে। মাফলার, মাস্ক ও টুপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব বেশি সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করেন। কারণ এগুলো সরাসরি মুখ, কান ও গলার সংস্পর্শে থাকে।
