ডায়াবেটিস থাকলে এই ৬টি খাবার অবশ্যই পাতে রাখুন
Image: google

ডায়াবেটিস থাকলে এই ৬টি খাবার অবশ্যই পাতে রাখুন!

সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। শুধু যে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই সুবিধা পাবেন তাই নয়। বিপাকীয় সমস্যা, স্থূলতা ইত্যাদিও এড়ানো যাবে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ কী জানেন? খারাপ

খাদ্যাভ্যাস। ভুল খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে বাড়তে পারে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। ভাজা খাবার, উচ্চ-কার্ব এবং চিনিযুক্ত খাবারের স্বাদে মন মজতেই পারে। কিন্তু এগুলি সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও ভাল নয়। ডায়াবেটিস থাকলে তো কথাই নেই। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। শুধু যে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেই সুবিধা

পাবেন তাই নয়। বিপাকীয় সমস্যা, স্থূলতা ইত্যাদিও এড়ানো যাবে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, উদ্ভিদজাত প্রোটিন, যেমন -মটরশুটি, বাদাম, টফু ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া মাছ, সামুদ্রিক খাবার, মুরগির মাংস, ডিম এবং কম ফ্যাটযুক্ত

দুগ্ধজাত খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই পাতে রাখা উচিত্। তবে চিন্তা নেই। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সমস্ত পছন্দের খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে না। কখনও কখনও পছন্দের খাবার খাওয়া যেতেই পারে। পুষ্টিবিদ এবং ডায়াবেটিস কেয়ার কোচ সুজাতা শর্মা বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সুষম খাদ্য রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে৷ ডায়েটের ক্ষেত্রে কম কার্বোহাইড্রেট বিকল্প বেছে নিতে হবে।’

১. হোল গ্রেন: এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। ফাইবারেরও দুর্দান্ত উত্স। জটিল কার্বোহাইড্রেট হজমে সময় লাগে। এতে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। রক্তে হঠাত্ সুগার স্পাইক হয় না। এর কিছু উদাহরণ হল আটা, বার্লি, ওটস, খোসাসহ ছাতু।
২. সবুজ শাক সবজি: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাছাড়া এতে হাই ফাইবার রয়েছে। যে কোনও সবুজ মরশুমি ফল বেশি করে খান।

৩. বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সেরা উৎস। আমন্ড, আখরোটের মতো বাদামে ওমেগা-থ্রি এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। স্ন্যাক্স হিসাবে তাই অল্প অল্প বাদাম খেতে পারেন।
৪. মাছ, মুরগি, ডিম: মাছ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অপরিহার্য তেলের সমৃদ্ধ উৎস। মুরগি, ডিম এবং মাছ প্রোটিনের দুর্দান্ত উৎস। অতিরিক্ত ক্যালোরি এড়াতে বেকিং বা গ্রিল করার চেষ্টা করুন। ভাজা এড়িয়ে চলুন। প্রোটিন আপনার ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে। পেশি গঠনে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভর্তি পেটের অনুভূতি দেয়।

৫. দই এবং পনির: এগুলি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র একটি ভাল উৎস৷
৬. ফল: ডায়াবেটিস রোগীরা সব ফল খেতে পারেন না। তবে তার মানে এই নয় যে সমস্ত ফল-ই খাওয়া ছেড়ে দেবেন। নিয়মিত পেয়ারা, শসা, আনারস, জাম, জামরুল, তরমুজ, নাসপাতি খেতে পারেন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *