সমাজে বহু যুগ আগে থেকেই পুরুষের আধিপত্য রয়ে এসেছে এবং মহিলাদের ছোট করা হয়েছে মহিলাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। ভারতে আজও মহিলারা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাননি। মেয়েরা কিছু করতে চাইলে তাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আমাদের সমাজে এমন কিছু মহিলা রয়েছেন





যারা সমাজে নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ সরবরাহ করেন, যেমনটি আইএএস অনুরাধা পালের মা করেছিলেন। আজকের গল্পটি এমনই একজন মহিলাকে নিয়ে যিনি নিজের সন্তানদের পড়াশোনা করানোর জন্য সমাজ এবং পরিবারের সাথে লড়াই করেছেন। আইএএস অনুরাধার মা তিনি শিক্ষিত ছিলেন না এবং অনুরাধার বাবা মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তাই নিজের মেয়েকে পড়াশোনা শেখানোর





জন্য তিনি সব কিছু করতে রাজি ছিলেন। পরিবারের সম্মতি না থাকাতে ও তিনি মেয়েকে পড়াশোনার জন্য বাইরে পাঠিয়ে ছিলেন। অনুরাধা কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। অনুরাধার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হওয়ার পরে পরিবার চেয়েছিল তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে কিন্তু অনুরাধার মা এর বিরুদ্ধে কে ছিলেন এবং নিজের মেয়েকে পড়াতে চেয়েছিলেন। অনুরাধার মা শিক্ষিত ছিলেননা





তাই তিনি নিজের মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করবেন ভেবে নিয়েছিলেন। তার মা লোন নিয়ে তাকে বিদ্যালয় ভর্তি করেছিলেন। পরিবারের একদমই সমর্থন না থাকার জন্য অনুরোধার মা এটিও বলেছিলেন যে যদি তার মেয়েকে পড়াশোনা করতে দেওয়া না হয় তবে তিনি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। অনুরাধা আইআইটি করতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য তার কাছে টাকা ছিল না। তাই তিনি বাচ্চাদের টিউশন পড়ানোর শুরু করেন। এরপরে অনুরাধা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেবেন বলে ঠিক করেন এবং এর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য





তিনি দিল্লি চলে যান। তিনি তার টিউশনির টাকা দিয়ে ফিজ ভরেছেন। তিনি আইএএসে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। নিম্ন পদমর্যাদার কারণে অনুরাধা আইএএসের পরিবর্তে আইআরএসের পদ পেয়েছিল। তিনি এই পদে যোগদান করেছেন এবং 2 বছরও কাজ করেছেন। তবে কাজটি করার পরেও তার মনে কোথাও কোথাও একটা অনুভূতি হয়েছিল যে তাকে আইএএস হতে হবে। কাজেই অনুরাধা কাজটি





করার সাথে সাথে আবার পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে। 2015 সালে যখন তিনি আবার এই পরীক্ষা দিয়েছেন, তখন তিনি সমগ্র ভারতে 62 তম র্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। এইভাবে সে তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছিল এবং তার পছন্দসই আইএএস পদ পেয়েছিল। এটির সাহায্যে অনুরাধা এই সত্যটি প্রমাণ করেছিলেন যে, মহিলাদেরও নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার অধিকার আছে এবং তারা চাইলে সব পারে।।









