যে ৫ টি অনিয়মের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিডনি!
Image: google

যে ৫ টি অনিয়মের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিডনি!

কিডনির মাধ্যমেই আমাদের দেহের সব বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। দেশে কিডনি অকার্যকারিতার হার ক্রমেই বাড়ছে। তাই কিডনি সুস্থ রাখার

দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কি কি অনিয়মের করলে কিডনি নষ্ট হয় তা জেনে নেই। ১। কিডনি সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। বাইরে বের হলে অনেকে পানি পানের কথা ভুলে যায়। এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে ফলে কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের দিনে ৬–৮ গ্লাস পানি পান করা অতীব জরুরী। তাই পানির

বোতল সাথে রাখুন। ২। মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। কিডনি অ্যালকোহল আমাদের শরীর থেকে সঠিক নিয়মে নিস্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যাতে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। ৩। আমাদের মধ্যে

অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। অনেকেই খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খানকিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে বের করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ৪। ঘরের বাইরে বের হলে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। মনে

করেন কিছুটা সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতির মাত্রা আপাত দৃষ্টিতে ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে খুব দ্রুত। ৫। অনেকেই অল্প ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এটি করেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ধরণের ব্যথানাশক ঔষধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ঔষধ খাবেন না।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *