লেবু খাওয়ার পর যে ভুলটি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি!
Image: google

লেবু খাওয়ার পর যে ভুলটি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি!

আমাদের দেশে ভিটামিন-সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয় লেবুকে। আর বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস মহামা’রির কালে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বারবার বলছে বেশি বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করতে। তাহলে কি লেবুর রস বের করার পর তার খোসা ফেলে দেওয়া হবে? লেবু

খাওয়ার পর একটি বড় ভুল আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি। আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য লেবুর খোসা কতটুকু দরকারি তা জানার পর আপনি নিশ্চিত খোসা ফেলে দেওয়ার অভ্যাস বদলে ফেলবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, লেবু ও খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার সর্ম্পকে। পুষ্টি সরবরাহ: লেবুর রসের মতো খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিটা

ক্যারোটিন। এক কথায় বলা যায়, রসের চেয়ে এর খোসা প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। প্রায় ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় ১৩৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৬০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১২৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। হাড় মজবুত করে: আপনার হাড় মজবুত ও হাড়ের স্বাস্থ্যগত উন্নতি করতে পারে ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়াম। লেবুর খোসার এই পুষ্টিগুলো প্রদাহজনিত পলি

আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো রোগও প্র’তিরোধ করতে সহায়তা করে। ক্যানসার প্র’তিরোধক: লেবুর রসের মতো লেবুর খোসাতেও সাইট্রাস বায়োফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ। যা জারণ ] চাপের মাত্রা কমাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। পাশাপাশি দেহের ভেতরকে ক্ষারীয় করে তোলে। লেবুর খোসা ক্যানসারও প্র’তিরোধ করতে পারে। লেবুর খোসা দেহের ভেতরে ক্যানসার কোষগুলোর বেড়ে ওঠার

বিরুদ্ধে ল’ড়াই করার মতো উপাদান লিমোনিন এবং সালভস্ট্রোল কিউ৪০ সরবরাহ করে থাকে। ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া প্র’তিরোধ: ভিটামিন-সি’র অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা নাড়িভুঁড়ি/ অন্ত্রের ভেতরে থাকা কৃমি এবং পরজীবী জীবাণু মে’রে ফেলে। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে বিভিন্ন ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সং’ক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে।

কীভাবে খাবেন লেবুর খোসা?:
লেবু থেকে খোসা ছাড়ানোর পর এটি আপনি শুকিয়ে রাখতে পারেন। যাতে এগুলোকে ভালোভাবে গুড়ো করা যায়। খোসা শুকনোর সহজ একটি উপায় হলো, ওভেন ব্যবহার করে ২০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় তা ভাজাভাজা করা নিতে পারেন এবং সেঁকা খোসাগুলোকে গুঁড়ো করে নিন। এরপর সেই গুঁড়ো বিভিন্নভাবে প্রতিদিনকার খাবার, পানীয়, অর্গানিক চা বা স্যুপের মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন।

কতটা নিরাপদ?:
লেবুর খোসা অক্সালেটের এক বড় উৎস। দেহে প্রতিদিন ৮০ মিলিগ্রামের বেশি অক্সালেট গ্রহণ করলে কিডনি এবং পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করতে পারে। আর ১ চা চামচ লেবুর খোসাতে প্রায় ২৫ মিলিগ্রাম অক্সালেট থাকতে পারে। তাই, প্রতিদিন সর্বাধিক ৩ চা চামচের বেশি লেবুর খোসা গ্রহণ করা উচিত হবে না।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *