কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মাথাব্যথার মহৌষধ হিসেবে কাজ করে পটলের বীজ
Image: google

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মাথাব্যথার মহৌষধ হিসেবে কাজ করে পটলের বীজ!

পটল এক ধরণের গ্রীষ্মকালীন সবজি। পটলে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি।এছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, পটাসিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন। সবজিটি হিসেবে পটল পুষ্টিকর। ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

পটলে থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পটলের উপকারিতা : পটল মানবদেহের হজমশক্তি বাড়ায়। ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে পটল। পটল খেলে কাশি কমে,জ্বর,রক্তদুষ্টি কমে। গলা ব্যথা কমতে জন্য উপকারী পটল। ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে পটল। এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। ফলে ত্বকের যত্নেও পটল ভালো কাজ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে পটল সহায়তা করে থাকে। পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে থাকে অনায়াসে। পটলে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধান করে থাকে। লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে পটল। পটল ওজন কমতে সাহায্য করে। পটলে

ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খাওয়া যেতে পারে। পটল পেট ভরা রাখতে ও ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে। পটল ও ধনেপাতা থেঁতলে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণটিকে ৩ ভাগ করে এর সাথে মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার

খান। এতে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমে পটল খেলে। পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলে স্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত পটল খেলে কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকে।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *