ইলিশ সবারই একটি প্রিয় মাছ। এই মাছটি খেতে ভালবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভোজনরসিক মানুষদের প্রথম পছন্দ সাগরের ইলিশ।





কিন্তু ইলিশ সব সময় পাওয়া যায় না। বর্তমানে চলছে ইলিশের মৌসুম। আগের তুলনায় এখন দামও হাতের নাগালে তাই সারা বছর ইলিশ খেতে চাইলে এখন সংরক্ষণ করতে পারেন। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এই মাছ স্বাদ-গন্ধে কোনো পরিবর্তন হয় না। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে





রয়েছে ২১.৮ গ্রাম প্রোটিন, ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৩৯ গ্রাম শর্করা, ২.২ গ্রাম খনিজ ও ১৯.৪ গ্রাম চর্বি। এ ছাড়া বিভিন্ন খনিজ, খনিজ লবণ, আয়োডিন ও লিপিড রয়েছে। বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে খাদ্যশক্তির উপস্থিতির তুলনায় ইলিশ মাছে রয়েছে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশক্তি। অন্যান্য মাংসের সঙ্গে ইলিশের তুলনা করলে দেখা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের মাংসে খাদ্যশক্তির





পরিমাণ ১৩০ কিলোক্যালরি, মুরগির মাংসে ১০৯ কিলোক্যালরি, খাসির মাংসে ১১৮ কিলোক্যালারি ও কচ্ছপের মাংসে ৯৬ কিলোক্যালারি। তবে সর্বাধিক পরিমাণ খাদ্যশক্তি রয়েছে ইলিশ মাছে, ২৭৩ কিলোক্যালরি। শরীর গঠন ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে ইলিশ মাছ প্রোটিন ও অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে। ইলিশে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ডি। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ





থেকে রক্ষা করে। খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন, ভ্রূণের উপযুক্ত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইলিশের তেল অত্যন্ত উপকারী। হৃদরোগ কমানোর ক্ষেত্রে এ তেলের ক্ষমতা অপরিসীম।





আসুন জেনে নিই কীভাবে সংরক্ষণ করবেন-
১. হলুদের গুঁড়া দিয়ে সংরক্ষণ ইলিশ মাছ টুকরা করে কাটতে হবে। একটি মাছের জন্য ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চা চামচ মরিচের গুঁড়া, আধা চা চামচ ধনিয়ার গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিয়ে মেখে নিন। মসলামাখা মাছের টুকরা একটি মুখবন্ধ বাটিতে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে রাখলে কয়েক মাস ভালো থাকবে। তবে ইলিশ মাছ আস্ত অবস্থায় রাখা ভালো।





২. ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ ডিপ ফ্রিজে ইলিশ সংরক্ষণ করতে চাইলে আস্ত ইলিশ পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে পেঁচিয়ে নিন। ভেতরে যেন বাতাস প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এর পর ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন পলিথিন মোড়ানো ইলিশ। সারা বছর স্বাদ অটুট থাকবে। চাইলে কেটেও সংরক্ষণ করতে পারেন।









