আপনাদের জন্য আমাদের এখনকার আয়োজনে রয়েছে একটি মজার টিপস। এটি হলো সারা বছর কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করারপদ্ধতি। অনেকেই বলবেন বিচিগুলো তো রোদে শুকিয়ে রাখলেই হয়। কিন্তু রোদে শুকিয়ে রাখলে কিছুদিন পরে সেটার বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে





যায়। ভেতরে কালো হয়ে যায় বা নষ্ট হয়। কিন্তু আমাদের এই টিপসটি ফলো করলে আপনি অনায়াশে সারা বছর টাটকা কাঁঠালের বিচি খেতে পারবেন। সামনে জ্যৈষ্ঠ মাস, পাওয়া যাবে কাঁঠাল, তাই আগে থেকে জেনে নিন এই টিপস। তাহলে দেখে নিন টিপসটি।
1. ট্রেডিশনাল পদ্ধতি –
এই পদ্ধতিতে ছাই এর সাহায্যে সংরক্ষণ করা যাবে কাঁঠালের বিচি। প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো সংগ্রহ করে ভালো করে পরিস্কার করে





নিন। তার পর একটি পাত্রে প্রথমে ছাই বিছিয়ে নিন। তার পর কাঁঠাল গুলো এই ছাই এর ভিতর দিয়ে দিন। মনে রাখবেন পরিস্কার করার
সময় কাঁঠালের বিচি এর খোসা ছাড়ানো যাবে না। বিচি গুলো দিয়ে দেওয়ার পর আবার ছাই দিয়ে দিতে হবে উপরে। তার পর বিচি
গুলো ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। মনে রাখবেন ভালোভাবে পুরো বিচি ছাই এই ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার একটি মাটির হাড়ি





নিন। তার ভিতরে প্রথমে ছাই দিয়ে দিন। এর পর ছাই মাখা বিচি গুলো চিয়ে দিন। তার পর আবার ছাই দিয়ে দিন। বিচি গুলো পুরো ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার পাতিলের ঢাকনা দিয়ে ঠান্ডা যায়গায় সংরক্ষণ করুন।





2. ফ্রিজিং পদ্ধতি –
এই পদ্ধতিতে প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নেই। তার পর এই বিচি গুলোর খোসা ছুরি দিয়ে বা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে পানি গরম দিয়ে তাতে পরিস্কার করা কাঁঠালের বিচি গুলো দিয়ে দিন।সাথে দিয়ে দিন এক চিমটি লবন। আমরা পুরো সিদ্ধ করবো না সিদ্ধ থেকে





একটু কম অবস্থায় আমরা নামিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেবো। হালকা সেদ্ধ করার পর বিচি এর সাথে থাকা পাতলা পর্দা সহজে উঠে নেবে। তাই এই সময় বিচি গুলো পরিস্কার করে নিন। এবার একটা এয়ার টাইট বক্সে দিয়ে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন সারা বছরের জন্য।









