কুমড়ো দিয়ে আমরা বিভিন্ন আইটেম আমরা খেয়ে থাকি। তবে আজ দেখে নিন কীভাবে বানাবেন কুমড়ো পাতা দিয়ে ডাল। সুস্বাদু এই ডাল একটি পুরাতনী পদ। আমাদের দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেহকে স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে কুমড়ো শাক ।তাই এটি
খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত ।এই ডাল আমার পরিবারের অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ। চলুন তবে বিস্তারিত রেসিপি জেনে নেওয়া যাক আমাদের রেসিপি থেকে-
উপকরণ : মুগ ডাল আধা কাপ, মসুর ডাল আধা কাপ, পেয়াজ আধা কাপ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, আদা কুচি ১ চা চামচ, কাচা লঙ্কা ৫/৬ টি, কুমড়ো পাতা মাঝারি সাইজের ১৫ টি অথবা ছোট সাইজের হলে প্রায় ২০ টির মত কচি কুমড়ো পাতা, হলুদ গুঁড়ো ১
চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, লবন- পরিমানমতো, সয়াবিন তেল ৩ টেবিল চামচ, লেবু ১ টুকরো, টমেটো ১ টি।
প্রণালী :
প্রথমে কুমড়ো পাতা গুলো ভাল মত জল দিয়ে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে। পাতার ডগা গুলোতে হালকা একটু কাঁটার মত থাকে, তাই- ডগার মাথায় হালকা করে ধরে কাঁটাযুক্ত আবরনটা ফেলে দিলে ভাল হয়। এবার একটি হাড়িতে তেল গরম করে তাতে কাটা পেঁয়াজ , রসুন , আদা , লবন টুকু দিয়ে দিতে হবে। পেয়াজ একটু বাদামী রঙ ধারন করলে তাতে ধুয়ে তুলে রাখা ডালটুকু ঢেলে
দিন। এবার ডালের সাথে হলুদ , মরিচ, ধনে ,জিরে গুড়ো যোগ করতে হবে। পরিমান মত লবন দিয়ে এই ডাল টুকু কে মাঝারী আঁচে ভাল মত ভেজে নিন। এর মাঝে একটূ পর পর নেড়ে দেখতে হবে, যাতে হাঁড়ির তলায় পোড়া না লাগে । ডাল যখন হালকা লাল রঙ ধারন করবে, তখন দুই-আড়াই গ্লাস গরম জল যোগ করুন। এবার মাঝারি আঁচে দশ মিনিট রান্না করুন। ডাল যখন মোটামুটি সিদ্ধ
হতে শুরু করবে, (কিন্তু গোটা গোটা ভাব থাকবে ),তখন কুচি করে কেটে রাখা কুমড়ো শাক গুলো ডালের সাথে মিশিয়ে দিন। আরো এক গ্লাস গরম জল যোগ করতে পারেন। এর সাথে কাঁচা মরিচ ও যোগ করুন।এবার এই পর্যায়ে একটু লবন চেখে দেখতে পারেন।এই ভাবে আরও মিনিট দশেক রান্না হবার পর যখন পাতা গুলো নরম হয়ে আসবে, ঐ সময় একটু লেবু চিপে দিতে পারেন।তারপর টমেটো
কুচি যোগ করুন।মিনিট পাঁচেক পর যখন টমেটো ও কুমড়ো পাতা গুলো নরম হয়ে মাখা মাখা হয়ে আসবে, তখন আরেকবার লবন দেখে নামিয়ে ফেলুন।