কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ ডুমুরের রস
Image: google

কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ ডুমুরের রস! যে নিয়মে খাবেন…

আমাদের দেশে গ্রামে পথের ধারে ডুমুরের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কোনো রকম যত্ন ছাড়াই এটি বেড়ে ওঠে। অনেকে এটিকে সবজি হিসেবে

খেয়ে থাকেন। এটি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্যকর একটি ফল। তবে জানেন কি? ডুমুরের থেকে তৈরি রসকে আরও স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এটি সহজেই হজম হয়। এতে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টিসমূহ। জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা- ১। ডুমুরের রস অনিদ্রার খুব ভালো চিকিৎসা। যারা দীর্ঘদিন অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। তারা এক দিন পর পর এক

কাপ করে ডুমুরের রস পান করুন। ২। এছাড়াও যারা দুশ্চিন্তা বা অস্থিরতায় থাকেন সবসময়। আবার যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ডুমুরের রস দুর্দান্ত সমাধান। ৩। একটি সমীক্ষা অনুসারে, তিন সপ্তাহ ধরে ডুমুরের রস পান করেছেন এমন ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময় হয়েছে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে ফাইবার এবং কম ফ্যাট। যা হজমে সহায়তা করে। ৪। অপুষ্টি ও জীবনযাত্রার অভ্যাসের কারণে

অনেকের মূত্রাশয়ের পাথর দেখা দেয়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ডুমুরের রসে অ্যান্টিউরোলিথিয়াটিক রয়েছে। যা মূত্র এবং পিত্তথলির পাথর ধ্বংস করতে সহায়তা করে। ৫। ডুমুরের রস ফিনলিক যৌগ, এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং জৈব অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা যেমন

কাশি, গলা ব্যথা বা গলার ইনফেকশন থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। ৬। ডুমুর রসে গ্লুকোজ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রার সমতা রয়েছে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ডুমুরের মধ্যে থাকা ইথাইল অ্যাসিটেট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।৭। ডুমুরে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। যা আমাদের ক্ষুধা উপশম করতে সহায়তা করে। এতে করে আপনার খাবারের চাহিদা কমে যাবে। ফলে ওজন কমাতে এবং ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে

সহায়তা করে। ৮। ডুমুরের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পলিফেনলস, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং শূন্য কোলেস্টেরল রয়েছে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ডুমুরের রসের এই যৌগগুলো আলঝাইমার সঙ্গে সম্পর্কিত নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৯। ডুমুরের রসে রয়েছে কার্ডিওভাসকুলার কর্মক্ষমতা। যা উচ্চ রক্তচাপ এবং

হৃদপিণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য রোগের চিকিত্সা করতে সহায়তা করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ডুমুর ফলের জলীয় নিষ্কাশন ফিনোলিক যৌগের উপস্থিতির কারণে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ডুমুরের রস যেভাবে তৈরি করবেন- কয়েকটি তাজা ডুমুর ভালোভাবে ধুয়ে টুকরা করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। ছেকে নিয়ে পান করুন। যদি শুকনো ডুমুর থেকে রস তৈরি করতে চান। তবে আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সকালে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। ডুমুরের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *