পুরো বিশ্ব জুড়ে জিন্সের প্রচলন করেছে আমেরিকা। সেখান থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে জিন্স পরার ট্রেন্ড। বর্তমানে পুরো দুনিয়াতেই জিন্স একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে পরিচিত (Jeans Tiny Pocket)। কিন্তু এই জিন্স প্রচলন করার পিছনে রয়েছে অন্য একটি
কাহিনীও। কী সেই কাহিনী? আসলে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে জিন্স পরিচিত হলেও, জিন্স প্রথম তৈরি করা হয়েছিল শ্রমিকদের কথা ভেবে। শ্রমিকদের জন্য জিন্স তৈরি করার অন্যতম কারণ ছিল, তাঁদের জামাকাপড় যাতে সহজেই খুব বেশি নোংরা না-হয়ে যায় এবং সেটি বারবার
যাতে ধুতে না-হয়। এই কারণের জেরেই আমেরিকায় প্রথম জিন্স তৈরি করা হয়। বর্তমানে প্রায় সকলেই জিন্স পরেন। প্রায় সকল জিন্সের পকেটের ভিতরে আর একটি ছোট পকেট তৈরি করা হয়ে থাকে। অনেকে জিন্সের সেই ছোট পকেটকে কয়েন রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জিন্সের মধ্যে এই ছোট পকেট তৈরি করা হয় অন্য কারণে। জিন্সের ডান দিকে পকেটের মধ্যে তৈরি ছোট পকেট বানানো হয়
আসলে ঘড়ি রাখার জন্য। অর্থাৎ বড় পকেটের মধ্যে একটি ছোট পকেট তৈরি করার আসল কারণ হল ঘড়ি রাখার জায়গা তৈরি করা। জিন্সের ইতিহাস অনেক পুরনো। জিন্স প্রথম তৈরি করা হয়েছিল আমেরিকায়, তা-ও আবার শ্রমিকদের জন্য। সেই সময় ছোট চেন লাগানো ঘড়ির চল ছিল। এই ঘড়ি রাখার জন্যই জিন্সে তৈরি করা হয়েছিল ছোট পকেট। লেভি স্ট্রস নামের কোম্পানি এই ছোট পকেট তৈরি করা শুরু করেছিল।
লেভি স্ট্রস নামের সেই কোম্পানির নাম এখন হয়েছে লিভাইস, যা খুবই জনপ্রিয়।আগেকার দিনে জিন্সের ছোট পকেটে চেন লাগানো ছোট ঘড়ি রাখা হতো। সেই সময় ছোট চেন লাগানো ঘড়ি রাখার প্রচলন ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ছোট চেন লাগানো ঘড়ির প্রচলন কমতে থাকে। এর ফলে জিন্সের ছোট পকেটে ছোট চেন লাগানো ঘড়ি রাখার চলও কমতে থাকে। কিন্তু জিন্সের ছোট পকেটটি ট্রেন্ডে থেকেই যায়। আসলে সকলে খুব
পছন্দ করতে শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে জিন্সের ছোট পকেট। মজার বিষয় হল, অনেকেই মনে করে থাকেন যে, জিন্সের ছোট সেই পকেট তৈরি করা হয়েছে কয়েন রাখার জন্য। যে জিন্স তৈরি করা হয়েছিল শ্রমিকদের জন্য, সেটি এখন সকল শ্রেণির মানুষই পরছেন এবং জিন্সের যে ছোট পকেট তৈরি করা হয়েছিল ঘড়ি রাখার জন্য, তা এখন ব্যবহার করা হচ্ছে অন্য কারণে।