কাঁকরোল
Image google

সহজ এই পদ্ধতিতে কাঁকরোল রান্না করলে স্বাদ হবে দুর্দান্ত! শিখে নিন রেসিপি

আজ আপনাদের সাথে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করব যা আমাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। কাঁকরোল খেতে অনেকেই পছন্দ করেন না কিন্তু এই রেসিপি কাঁকরোল এমন ভাবে রান্না করা হবে যেভাবে রান্না করলে আপনারা কাঁকরোলের স্বাদ এক ভিন্ন মাত্রায় চলে আসবে।এভাবে কাঁকরোল রান্না করলে তা

খেতে অসাধারণ লাগবে। কাঁকরোল খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খেলে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর হয়। মৌসুমের সবজিগুলোর মধ্যে কাঁকরোল অন্যতম। যদিও এ সবজি অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না; কিন্তু সারা গায়ে কাঁটাযুক্ত এ সবজির বিস্ময়কর পুষ্টিগুণাগুণ রয়েছে। তাছাড়া কাঁকরোল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কম ক্যালরির ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার; তাই এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের ডায়াবেটিসকে সাধারণ পর্যায় রাখতে সাহায্য করে এই কাঁকরোল।এজন্য

ডায়াবেটিস কমাতে কাঁকরোল ভাজি করে বা চাইলে কচি কাঁকরোল জুস করেও খেতে পারেন। এতে করে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। কাঁকরোলের রেসিপি চাইলে আপনারা খুব সহজেই কাঁকরোল রান্না করে খেতে পারেন। এ রেসিপিটি হুবহু অনুসরণ করলে কাঁকরোলের মধ্যে কোন ধরনের গন্ধ আসে না। আপনারা এই রেসিপিটি দেখে কাঁকরোল রান্না করলে আপনারা বুঝতে

পারবেন না এটি কাঁকরোল দিয়ে তৈরি একটি রেসিপি। চলুন জেনে নেই কিভাবে রান্না করতে হয় অসাধারণ রেসিপি কাঁকরোল দিয়ে রেসিপি তৈরি করতে যা যা প্রয়োজনীয় তা হলঃ কাঁকরোল, আলু, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, রসুন কুচি, লবণ,বেসন, তেল, হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো, আস্ত সরষে, পোস্তদানা।

রন্ধন প্রক্রিয়া:
প্রথমে কাঁকরোল গুলোকে ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর কাকরোল এর পিছনের অংশগুলো ছুরি বা বটির সাহায্যে কেটে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরপর কাকরোল গুলোকে গ্রান্ড করে নিতে হবে একটি হ্যান্ড গ্রাইন্ডার এর সাহায্যে। সবগুলো কাঁকরোল গুলোকে ভাল করে গ্রান্ড করে নিতে হবে। কাঁকরোল গুলো গ্রান্ড করা হয়ে গেলে এগুলো একটি বাটিতে তুলে উঠিয়ে রাখতে হবে।এরপর সে গ্র্যান্ড করে রাখা কাঁকরোল গুলোর মধ্যে একটি আলু গ্রান্ড করে নিতে হবে। আলু গুলো গ্রান্ড করা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে

হবে পেঁয়াজ কুচি,কাঁচামরিচ কুচি, রসুন কুচি, অল্প পরিমাণ হলুদ,অল্প পরিমাণ মরিচ গুঁড়ো এবং পরিমাণমতো বেসন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে কোন রকমের পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই কাঁকরোলে থাকা পানি দিয়েই এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশে যাবে। এরপর একটি মিক্সারে আস্ত সরষে,পোস্তদানা রসুন ও অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। বানিয়ে নেওয়া পেস্ট অন্য একটি পাত্রে ঢেলে রেখে দিতে হবে। এরপর বিভিন্ন মসলা দিয়ে মেখে রাখা কাঁকরোলের মিশ্রনটিকে চুলায় গরম তেলের মধ্যে দিয়ে বোড়ার আকার করে ভেজে নিতে হবে। কড়াইতে তেল রেখে বেশি আগুনে তেল গরম করে

নিতে হবে। এবং সেই তেলে মিশ্রনটিকে বোড়া আকারে দিয়ে দিতে হবে। বোড়া গুলো কড়াইতে দেওয়ার সাথে সাথে চুলার আজ লো করে দিতে হবে।বোড়াটিকে উল্টে পাল্টে লালচে বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। বোড়া গুলো ভাজা হয়ে গেলে এগুলি একটি পাত্রে উঠিয়ে নিতে হবে। বোড়া গুলোকে অবস্থা তেই পরিবেশন করা যাবে অথবা গরম ভাতের সাথে এই বোড়া গুলো খেতে মন্দ লাগবে না। এরপর আবার করাইয়ের মধ্যে কিছুটা তেল দিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে গোটা পাঁচফোড়ন। পাঁচফোড়ন গুলোকে ডিজে নেওয়া হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজ কুচি। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে পেঁয়াজ কুচি গুলো ভেজে নিতে হবে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে এর মধ্যে দিতে হবে চিরে নেওয়া কাঁচামরিচ। এরপর কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ গুলো কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে এর মধ্যে দিতে

হবে সামান্য পরিমাণ হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো। মসলা গুলোকে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে লক্ষ্য রাখতে হবে,মসলাগুলো যাতে পুড়ে না যায়।মসলাগুলো কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে আগে থেকে বেটে রাখা পোস্তদানা গুলো। বেটে রাখা পোস্তদানা গুলোকে ভালোভাবে মশলার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে ভেজে রাখা সেই কাঁকরোলের বোড়া গুলো। বুড়ো গুলো দিয়ে দেওয়া হয়ে গেলে এগুলো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে আচ দিয়ে রান্না করে নিতে হবে। রান্নায় আজ দেওয়া হয়ে গেলে আমাদের কাঁকরোলের অসাধারণ রেসিপিটি তৈরি হয়ে যাবে।

Check Also

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

1. সহজেই ভালো-খারাপ ডিম চেনার উপায় : শহরের এই কাজের চাপে বারে বারে দোকানে যাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *