সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল জেনে নিন
Image: google

সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি কৌশল জেনে নিন

সব মা-বাবাই চান তাদের সন্তান হৃষ্টপুষ্ট থাকুক, হোক লম্বা আর শক্তিশালী। কারণ এসবই সুস্বা’স্থ্যের লক্ষণ। শিশু সঠিকভাবে বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে মা-বাবাকেই। মা-বাবার তুলনায় যদি সন্তানের বৃদ্ধির গতি বেশি মনে হয় তবু তার বয়সী অন্য শিশুদের

সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। এমনও হতে পারে সে তার সমবয়সীদের তুলনায় লম্বা নয়। সন্তানের উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পা’লন করে জিন। এটি একমাত্র ফ্যাক্টর নয় যা উচ্চতাকে প্র’ভাবিত করে। আশপাশের পরিবেশ, খাবার, শরীরচর্চা- এসবও শিশুর উচ্চতা নির্ধারণে গু’রুত্বপূর্ণ ভূমিকা পা’লন করে।

জেনে নিন আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি সহজ উপায়:-
1. সামগ্রিক বৃ’দ্ধির জন্য সুষম খাদ্য- সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল শ’রীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছানো। সুষম ডায়েটে সঠিক অনুপাতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি এবং ভিটামিনের মি’শ্রণ হওয়া উচিত। এছাড়াও আপনার সন্তানকে জাঙ্ক ফুড এবং কোমল পানীয় থেকে দূ’রে রাখু’ন। মাঝে মাঝে অল্প খেলে স’মস্যা নেই; কিন্তু কোনওভাবেই যেন প্রতিদিন এসব না খায়।
2. জিঙ্ক- আপনার সন্তানের বৃ’দ্ধিতে বড় ধ’রনের ভূমিকা রাখে। সুতরাং, চিনাবাদাম এবং স্কোয়াশ বীজে’র মতো দস্তা-সমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা গু’রুত্বপূর্ণ। ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করবে না। তবে তাকে ভেতর থেকে আরও শ’ক্তিশালী করবে।

3. শ’রীরচর্চা- অল্প বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে কিছু সাধারণ শ’রীরচর্চা শেখানো উচিত। এটি তার উচ্চতা বৃ’দ্ধির প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে। প্রসারিত মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত ক’রতে এবং আপনার সন্তানের শা’রীরিক গঠন উন্নত ক’রতে সহায়তা করে।
4. হ্যাংগিং- উচ্চতা বৃ’দ্ধির জন্য হ্যাংগিং কয়েক দশক ধ’রে পরিচিত এক উপায়। এটি মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত ক’রতে সহায়তা করে যা লম্বা হওয়ার একটি গু’রুত্বপূর্ণ অ’ঙ্গ। নিয়মিত হ্যাংগিং ছাড়াও আপনি আপনার সন্তানকে পুলআপ এবং চিনআপস ক’রতেও বলতে পারেন। এ দুটি শ’রীরচর্চাই পিঠ এবং বাহুর পেশি শ’ক্তিশালী করে তোলে।

5. স্কিপিং- স্কিপিং বা দড়ির লাফ একটি মজাদার শ’রীরচর্চা যা শি’শুদের কাছে আরও বেশি খেলার মতো অনুভূত হয়, এটি হৃদপিণ্ডসহ পুরো দে’হে কাজ করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি আশ্চর্যজনক কার্ডিও ওয়ার্কআউট, যা আপনার সন্তানকে সক্রিয় এবং স্বা’স্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।

6. সাঁতার- সাঁতার আরেকটি স্বা’স্থ্যকর এবং মজার শ’রীরচর্চা যা আপনার সন্তানের সামগ্রিক বৃ’দ্ধিতে সহায়তা করে। এটি একটি পুরো শ’রীরের ব্যায়াম যা শ’রীরের সব পেশিতে কাজ করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মেরুদণ্ড শ’ক্তিশালী হয় এবং উচ্চতা বৃ’দ্ধি পায়। 7. ভালো ঘুম- রাতে একটি ভালো ঘুম কেবল বড়দের জন্য নয়, শি’শুদের জন্যও গু’রুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তানকে সু’স্থ এবং শ’ক্তিশালী রাখার জন্য প্রতি রাতে তার অন্ত’ত আট ঘণ্টা ঘুম নি’শ্চিত ক’রতে হবে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *