এই লক্ষণগুলোই কিন্তু কিডনি ফেইলিওরের সতর্কবার্তা
Image; google

এই লক্ষণগুলোই কিন্তু কিডনি ফেইলিওরের সতর্কবার্তা! পাতে রাখুন এই ৬টি খাবার

Kidney শরীরের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। যদি এটি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে অন্যান্য অঙ্গেও সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু কিডনি সুস্থ রাখতে কী খেতে হবে জানেন? যদি না হয়, তাহলে এই নিবন্ধটি আপনাকে কিডনির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি

জানতে সাহায্য করবে। এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি কিডনি ব্যর্থতার উপসর্গগুলি উপশম রাখতে সাহায্য করবে। যা কিডনির সংক্রমণ ও রোগ সম্পর্কে সতর্ক করে। কিডনি ফেইলিউরের লক্ষণগুলো কী?কিডনি সংক্রমণ বা কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রধান লক্ষণগুলো দেখা কঠিন। কিন্তু কিছু সাধারণ সমস্যা একসঙ্গে ঘটলে খারাপ কিডনির দিকে নির্দেশ করতে পারে। আপনি যদি

সারাদিন ক্লান্ত বোধ করেন, ঘুমাতে না পারেন, শুষ্ক ত্বক, ঘন ঘন প্রস্রাব, রক্তাক্ত বা বিবর্ণ প্রস্রাব, পায়ের গোড়ালি এবং চোখের চারপাশে ফোলাভাব, তাই আপনার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই সমস্ত সমস্যাগুলি একটি খারাপ কিডনির বৈশিষ্ট্য।

​1. বাঁধাকপি কিডনির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে- আপনি যদি কিডনির সংক্রমণ এড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার প্লেটে বাঁধাকপি রাখুন। বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট ইত্যাদি। যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে কিডনি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে বাঁধাকপির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য কিডনির ক্ষতি রোধ করে।
2. ​পেঁয়াজ- পেঁয়াজ অবশ্যই স্বাস্থ্যকর কিডনির খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। কারণ, লবণ খাওয়া কিডনি রোগে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই লবণের বিকল্প হিসেবে পেঁয়াজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, বি ভিটামিন এবং প্রিবায়োটিক ফাইবার। যা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।

3. ​ডিমের সাদা অংশ খান- ডিমের প্রতিটি অংশই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এর সাদা অংশ কিডনির জন্য বেশি উপকারী। ডিমের সাদা অংশ কিডনি-স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে সমৃদ্ধ। তাই কিডনি রোগে আক্রান্ত বা এড়াতে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ​
4. আনারস- আপনি যদি একটি কিডনি স্বাস্থ্যকর ফল খুঁজছেন, তাহলে অবশ্যই আনারস খান। কারণ, আনারস একটি কম পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, যা কিডনি রোগীদের উপকার করে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন সি, ব্রোমেলেন, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি কিডনির প্রদাহ কমায় এবং কিডনি সংক্রমণ ও কিডনি রোগ থেকে রক্ষা করে। ​

5. মুলো- শীত আসতেই এর মধ্যে প্রচুর মুলা খেতে হবে। কারণ, মুলা কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কার্যকর। মুলার ভিতরে পটাসিয়াম ও ফসফরাস কম থাকলেও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। যা কিডনি রোগের পাশাপাশি হৃদরোগ ও ছানি প্রতিরোধ করে।
6. রসুন- কিডনির রোগ এড়াতে রসুন অবশ্যই খেতে হবে। কারণ, পেঁয়াজের মতো এটিও লবণের দারুণ বিকল্প। একই সময়ে, এর ভিতরে উপস্থিত ভিটামিন সি, ভিটামিন বি 6, সালফার যৌগগুলির প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়। যা কিডনিকে সুস্থ রাখে।
ডিসক্লেইমার:
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *