শিশুকে পড়ানোর সময় একজন মায়ের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত
Image: google

শিশুকে পড়ানোর সময় একজন মায়ের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত

শিশুকে পড়ানোর সময় একজন মায়ের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত- আমাদের মায়েদের প্রতিদিনের কাজের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, বাচ্চাদের পড়াতে বসানো। বাচ্চাটা বড় হলে কেবল তাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং

স্কুলের পড়াগুলো ঠিক মতো তৈরি করতে বাচ্চাকে সাহায্য করা ও তার পড়াশোনার প্রতি সঠিক মনোযোগ স্থাপনের সাহায্য করা। একজন অভিভাবক হিসেবে মায়ের দায়িত্বের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। বাচ্চাদের পড়াতে বসিয়ে মায়েরা মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো:

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

1. পড়ানোর নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন:
পড়াতে বসানোর একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। আর বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জন্য প্রথমে যা করতে হবে তা হল একটি নির্দিষ্ট সময় সূচি অনুসরণ করা। তবে মনে রাখবেন, টাইম টেবিলটা হবে আপনার শিশু কখন পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তার ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার সময় অনুযায়ী আপনার বাচ্চার পড়ার সময় বাছাই করেন তাহলে এতে আপনার বাচ্চার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে।
2. বাচ্চাকে পড়তে উৎসাহী করতে প্রশংসা করা:
আপনার বাচ্চার পড়ার গতি ও মনোযোগ উভয়ই বাড়াতে তাকে আরও ভালো ফলাফলের জন্য প্রশংসা করুন। যেকোনো বিষয়ে ভালো অগ্রগতি দেখালে হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করুন।

3. বাচ্চার সাথে সাথে আপনিও পড়ুন:
বাচ্চারা একা একা পড়ার থেকে সাথে নিয়ে পড়তে বেশী পছন্দ করেন। আর তাই বাচ্চাকে পড়াতে বসিয়ে আপনি চুপচাপ না থেকে বাচ্চার সাথে সাথে পড়ুন। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত পড়া আয়ত্ত করতে পারবে।
4. পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চার সাথে খেলুন:
পড়া যাতে একঘেয়েমি কোন ব্যাপারে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে বাচ্চার সাথে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলায় অংশগ্রহণ করুন। হতে পারে সেটা পড়ার বিষয়ে কোন খেলা যার মাধ্যমে বাচ্চা খেলতে পারবে আমার সাথে পড়াও হবে।

5. বাচ্চাকে বারবার প্রশ্ন করুন:
বাচ্চার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পড়ার ফাঁকে তাকে জানার বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করুন। আর আপনার বাচ্চা যদি প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দেয় তাহলে তার প্রশ্নের উত্তর এর বিপরীতে ভালবাসা আর আদর দিন।

6. বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জায়গা বিস্তৃত করুন:
আপনার বাচ্চার পড়ার জায়গা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘরে না রেখে একটু বিস্তৃত করুন। যেমন, টেবিল-চেয়ারে একটানা না পড়িয়ে বিছানায় বসাতে পারেন, মেঝেতে বসাতে পারেন কিংবা বারান্দায়। এতে স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার পড়ার একঘেয়েমি কেটে যাবে।
7. পড়ানো শেষে বাচ্চাকে খেতে দিন তার পছন্দের কোন খাবার:
প্রতিদিনের পড়ানো শেষে সারপ্রাইজ হিসেবে আপনার সোনামনিকে খেতে দিন তার পছন্দের কোন খাবার। দেখবেন এই উপায়ে আপনার বাচ্চার পড়া হবে সাথে খাওয়াও হবে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *