কাঠের আসবাবকে নতুনের মত ঝকঝকে রাখতে ঘরোয়া টিপস
image: google

কাঠের আসবাবকে নতুনের মত ঝকঝকে রাখতে ঘরোয়া টিপস!

ঘরটিকে মনের মতো করে সাজাতে আসবাবপত্রের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। আর তাই সব বাসাতেই কিছু না কিছু আসবাবপত্র রয়েছেই। তবে একটা সময় ছিল, কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবহারে আভিজাত্যের প্রকাশ পেত।

সময়ের পরিক্রমায় নানা রকমের আসবাবপত্র দেখা মিললেও কাঠের গুরুত্ব কমেনি কোনো অংশেই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের ফলে কাঠের আসবাবে দাগ পড়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে কাঠের আসবাবপত্রের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আর এসম্পর্কে কিছু কার্যকরী টিপস জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

1. তেল ব্যবহার না করা- অনেক সময় কাঠের আসবাবপত্র সাইনি করতে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল কাপড়ে লাগিয়ে মুছে থাকেন। এটি আসবাবপত্র তেলতেলে করে ধুলাবালি, ময়লাকে আকৃষ্ট করে থাকে। তাই তেল দিয়ে আসবাবপত্র মোছা আজই বন্ধ করুন।
2. সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা- কাঠের আসবাবপত্র সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন। সূর্যের আলো কাঠের ময়েশ্চার শুষে নেয়। যার কারণে দ্রুত কাঠের আসবাবপত্র ভেঙ্গে যায়। এমনকি দ্রুত কাঠের রংও নষ্ট হয়ে যায়। সূর্যের আলো এবং তাপ থেকে কাঠের আসবাবপত্র দূরে রাখুন।

3. পানি থেকে দূরে রাখুন- কাঠের আসবাবপত্র পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না। শুধু তাই নয়, পানি থেকে দূরে রাখুন আপনার কাঠের আসবাবপত্রকে। কুসুম গরম পানিতে সাবান পানি মিশিয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি ব্যবহারের পর শুকনো কাপড় দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। শক্ত, তেল চিটচিটের দাগগুলো টুথপিক দিয়ে উঠিয়ে নিতে পারেন।
4. শু পলিশ ব্যবহার- কাঠের আসবাবপত্রে আঁচড়ের দাগ দূর করতে শু পলিশ ব্যবহার করুন। কাঠের রং অনুযায়ী শু পলিশ আঁচড়ের স্থানে হালকা করে লাগিয়ে নিন। এটি আঁচড়ের দাগ হালকা করতে সাহায্য করবে।

5. পাতলা মোমের প্রলেপ- নষ্ট হওয়া থেকে কাঠের আসবাবপত্র রক্ষা করার জন্য মোমের পাতলা প্রলেপ কাঠের আসবাবপত্রের উপর লাগিয়ে দিন। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কিছুটা শুকিয়ে গেলে আবার মোমের প্রলেপ লাগিয়ে দিন। ৩০ মিনিট পর আবার এটি করুন। এইভাবে কয়েকবার করুন। মোম কাঠের আসবাবপত্রকে ঘুণ পোকার হাত থেকে রক্ষা করে। এর স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *