ঘরের বিষাক্ত গ্যাস শুষে নেয় যে ৬টি গাছ!
Image: google

ঘরের বিষাক্ত গ্যাস শুষে নেয় যে ৬টি গাছ!

গাছ আমাদের জীবন বাঁচায়। তবে শুধু যে বাইরেই গাছ থাকতে পারে তা কিন্তু নয়, বর্তমানেঘরের সৌন্দর্য্যের জন্য অনেকে ঘরেও গাছ রাখে। তবে এমন কিছু গাছ আছে যা ঘরের বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে নেয়। আর এই গাছগুলো ঘরে রাখলে বিষাক্ত গ্যাসের যে কোন

প্রভাব থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব। আসুন জেনে নেই সেই ৬টি গাছ সম্পর্কে। চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক- 1. অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী- অ্যালোভেরা ঘরের মধ্যে লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড এবং টক্সিন এর মতো ক্ষতিকর দূষিত পদার্থকে শোষণ করে নেয়। এছাড়া এটি

বাতাসকে পরিষ্কার রাখে এবং প্রাকৃতিক এয়ার পিউরিফাই হিসেবে কাজ করে। 2. ফিকাস- এই গাছটি বাতাসকে সতেজ রাখতে এবং দূষিত পদার্থকে শোষণ করতে বিশেষভাবে সক্ষম। তবে এই গাছের জন্য খুব একটা আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না। এই গাছটি বাতাসের মধ্যে থাকা সমস্ত টক্সিনকে শোষণ করে নেয়। তবে বাড়ির মধ্যে থাকা পোষ্য প্রাণীকে এই গাছটির পাতা থেকে দূরে রাখতে

হবে, না হলে বিষক্রিয়া হতে পারে। আইভি পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে প্রতিটি ঘরেই আইভি গাছটি রাখা উচিত কারণ ঘরের পরিবেশকে সতেজ রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। খুব কম সময়ের মধ্যেই ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত টক্সিন পদার্থ ও দুর্গন্ধকে শোষণ করে নেয়। 3. স্পাইডার প্ল্যান্ট- এই গাছটি অতিরিক্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে কারণ এদের খুব কম আলোর মধ্যেই সালোক

সংশ্লেষ ঘটে। ঘরের মধ্যে থাকা টক্সিন, স্টাইরিন, গ্যাসোলিন নামক দূষিত পদার্থ গুলিকে শোষণ করে নেয়। এছাড়াও এটি বাড়ির অনেকটা অংশ জুড়ে বাতাসকে তরতাজা ও পরিশুদ্ধ করে তোলার ক্ষমতা রাখে। 4. স্নেক প্ল্যান্ট- শোবার ঘরে স্নেক প্ল্যান্ট আদর্শ একটি গাছ। এই গাছটি রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এই গাছটি সহজেই মরে যায় না তবে এর জন্য বিশেষ আলো এবং জলের

প্রয়োজন হয়। এটি বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তুলতে এবং টক্সিন শুষে নিতে সক্ষম। 5.পিস লিলি- এই গাছটি বাতাসের মধ্যে থাকা সকল দূষিত পদার্থকে মুহূর্তেই শোষণ করে নিতে পারে। এর ফলে ঘরের পরিবেশে খুবই দ্রুত অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তোলে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *