ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরি ছেড়ে চাষাবাদ করেই কোটিপতি অভিষেক!
Image: google

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরি ছেড়ে চাষাবাদ করেই কোটিপতি অভিষেক!

সত্যিই শিরোনামটা শুনে অবাক হওয়ার মত কথা, এটি কোন কাল্পনিক গল্প নয়। একজন চাষীর প্রতিদিনের রোজগার কতটা হতে পারে তা আমরা সবাই আন্দাজ করতে পারি।

কিন্তু এখন আমরা আজকে যার কথা বলবো তিনি একেবারে অবাক করে দিয়েছেন। এই মহান ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চাষের কাজ বেছে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি এখন কোটিপতি। এই কোটিপতি চাষির নাম হল অভিষেক ধাম্বার। তাদের

পারিবারিক পেশায় হল চাষবাস করা। চাষ করার জন্য তাদের কাছে মোট 25 একর জমিও রয়েছে। কিন্তু এই অভিষেকের ছোটবেলা থেকে চাষবাসের ওপর তেমন ঝোঁক ছিল না তার। আর সেই কারণেই তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং এর পথ বেছে নেন। এবং স্বপ্ন দেখেন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর চাকরি করার। ছোটবেলা থেকেই তার ধারণা ছিল চাষবাস করা মানে ঘন্টার পর ঘন্টা খাটার পর সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করা।

2014 সালে তিনি ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। এরপর চাকরিও পান তিনি। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চাষবাসের কাজে লেগে পড়েন তিনি। এবার প্রশ্ন উঠছে যে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং দিকে এত ঝোঁক সে হঠাৎ ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে চাষবাসে লেগে পড়ল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বেরিয়ে এলো আসল তথ্য। নিজে চাষবাস এর কাজে লাগার আগে আজ পর্যন্ত কোনদিন মাঠে নামেননি

তিনি। কোনদিন তার বাবাকে চাষবাসের কাজে সাহায্য করেননি তিনি। তিনি সবসময় চাইতেন চাকরি করবেন। অভিষেক প্রথম থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খুবই সচেতন ছিলেন।সময়মতো খাওয়া দাওয়া করতেন,জিমে যেতেন।এরপর তিনি হঠাৎ একদিন ভেবে দেখেছিলেন যে, স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে ঠিক কতটা পুষ্টির প্রয়োজন। এ নিয়ে তিনি গবেষণা শুরু করে দেন। এরপরে তিনি খাবারে কীটনাশক জাতীয় রাসায়নিক

দ্রব্য যাতে না পড়ে তাকে এড়ানোর জন্য একটি ছোট্ট বাগান করেন। এই বাগানটি তিনি যমুনা নদীর তীরে করেন। এবং জৈব সার দিয়ে চাষবাস করতে শুরু করেন তিনি। এরপর এক বছর পর নিজের চোখেই দেখেন তার ছোট্ট বাগানে তৈরি হওয়া সবজির স্বাদ এবং রং অন্যরকম। এরপর তিনি যখন জৈব সার দিয়ে চাষ করার পদ্ধতি জেনে নিলেন তারপর তিনি তার পরিবারের 25 একর জমিতে জৈব সার দিয়ে

চাষবাস শুরু করলেন। তিনি রোজ 15 থেকে 20 মিনিট ধরে জল দিতেন জমিতে। এইভাবে তার 25 একর জমিতে চাষ বাস করতে শুরু করলেন ইঞ্জিনিয়ার চাষী। চাষবাস ছাড়াও জমির বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তিনি বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা শুরু করলেন। এর থেকে তাদের বাড়িতে রান্না হত। এমনি করেই তিনি স্বাস্থ্য এবং অর্থ দুটোই অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি এতোটাই এগিয়ে গেছেন যে এখন প্রত্যেকদিন 40,000 টাকা রোজগার করেন।

Check Also

মাত্র ২০০০ টাকায় মেশিন কিনে শুরু করুন এই দারুন লাভের ব্যবসা

মাত্র ২০০০ টাকায় মেশিন কিনে শুরু করুন এই দারুন লাভের ব্যবসা

যে কোন চাকরির থেকে ব্যবসা করে কিন্তু অনেকটাই বেশি উপার্জন করা যাচ্ছে।এমতাবস্থায় আজকের এই বিশেষ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *