এলার্জি এড়াতে বেশির ভাগ মানুষই মারাত্মক কিছু ভুল করে ফেলেন যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিপদ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে… ১. এলার্জির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই ফার্মেসীতে গিয়ে নানা রকম ঔষধ কিনে খান। কিন্তু ঠিক কি কারণে
আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে তা না জেনেই যদি ওষুধ খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে উল্টে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরীক্ষা করিয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার অ্যালার্জি ঠিক কী ধরনের। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ২. ঘরে যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢুকলে ঘর থাকবে জীবাণুমুক্ত। এমন ধারণায় এলার্জির রোগীরাও জানালা হাট করে খুলে দেন। কিন্তু এর ফলে বিভিন্ন ফুলের পরাগরেণু
বা ধুলোবালি ঢুকে পড়ে অ্যালার্জির সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. এলার্জির সমস্যা যাদের আছে, বিশেষ কিছু ফল বা সবজি খেলে তাদের অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। মুখ এবং গলায় চুলকানি, অসস্তি দেখা দেয়। কখনো এইসব খাবার কাটাকাটি করলে, ধুতে গেলে বা রান্না করতে গেলে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। আপনার যদি জানা থাকে যে কোন কোন খাবারে আপনার এলার্জি বেড়ে যায় তাহলে
সেসব খাবার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। ৪. আপনার জুতো, কাপড়, চুলে লেগে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধুলোবালি প্রতিনিয়তই ঘরে ঢুকে যায়। আপনার ঘরের পোষ্যটির মাধ্যমে ও দিনের মধ্যে একশ বার একই ঘটনা ঘটে। এসব কারণে যতটা সম্ভব পরিষ্কার থাকতে উপযুক্ত সতর্কতার নেওয়া উচিত। শুধু তাই নয় বাইরে থেকে এসে মাথার চুল ধুয়ে ফেলা টা অনেক জরুরি। নয়তো চুলে লেগে থাকা ধুলো বালি বালিশের লেগে
যাবে এবং রাতভর সেগুলো লাগা বালিশে ঘুমালে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। ৫. অনেকের এলার্জির সমস্যায় চিকিৎসকের দেওয়া নাসাল স্প্রে করে থাকেন। কিন্তু এই নাসাল স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকেই নিয়ম মেনে চলেন না। নাসাল স্প্রে এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নাকের ভেতরের অংশ এবং সাইনাসে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিত্সা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)