সকালে খালি পেটে ডুমুর খেলে চিরতরে দূর হবে এই ৫ রোগ!
Image: google

সকালে খালি পেটে ডুমুর খেলে চিরতরে দূর হবে এই ৫ রোগ!

সকালে খালি পেটে বাদাম এবং কিশমিশ ভিজিয়ে খান অনেকেই। তবে এই তালিকায় রয়েছে ডুমুরও। এর মধ্যে রয়েছে যা পুষ্টির ভান্ডার এবং এর নিয়মিত সেবন শরীরের প্রতিটি অঙ্গের উপকার করে। সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেয়ে কিশমিশের মতো সারারাত জলে

ভিজিয়ে রাখে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। ডুমুরের পুষ্টিগুণ ব উপকারিতার কথা যদি বলা হয় তাহলে এর মধ্যে এটি জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ পদার্থের পাওয়ার হাউস। এই শুকনো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।

আপনি যদি এর থেকে আরও বেশি উপকার পেতে চান, তাহলে ১-২ টি ডুমুর এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে খালি পেটে খান। এর সঙ্গে বাদাম এবং আখরোটের মতো আরও কিছু জিনিস যোগ করতে পারেন।

1. ডুমুর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক-
ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা আপনার শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডুমুরে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। টাইপ-2 ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীরা এই ফল ভিজিয়ে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায় সহজেই। আপনি সালাদ, স্মুদি, কর্নফ্লেক্স বা ওটসের সঙ্গে টুকরো করা ডুমুর যোগ করে খেতে পারেন।
2. কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সেরা ওষুধ-
ডুমুর খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার কথা যদি বলি, তাহলে এটি জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ পদার্থের

পাওয়ার হাউস। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, তাই তো বিশেষজ্ঞরা কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলসের রোগীদের ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি মলত্যাগ স্বাভাবিক করে শিথিল করে। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ডুমুর খাওয়া উচিত।
3. ওজন কমাতে ডুমুর খান-
আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করেন, তাহলে ডুমুরও আপনার ডায়েট চার্টে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার ওজন কমানোর জন্য অপরিহার্য। ডুমুর আপনার শরীরে ভালো পরিমাণে ফাইবার সরবরাহ করে। তবে, এটি পরিমিত পরিমাণে

খেতে হবে। কারণ এর মধ্যে ক্যালোরির মাত্রা বেশি। তাই বেশি খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে।
4. হাড় মজবুত রাখতে ডুমুর খান-
ডুমুর ক্যালসিয়ামের একটি শক্তিশালী উৎস, এটি আপনার হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। শরীর নিজে থেকে ক্যালসিয়াম তৈরি করে না, তাই বাহ্যিক উৎস যেমন দুধ, সয়া, সবুজ শাক-সবজি এবং ডুমুরের ওপর নির্ভর করতে হয়। তার মধ্যে সেরা উপাদান হল ডুমুর।
5. ডুমুর হার্ট সুস্থ রাখে-
ডুমুরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ করোনারি

ধমনীতে বাধা রোধ করে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। কিছু গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ডুমুর শরীরের লাল ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে যা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার একটি প্রধান কারণ।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *