রান্নাঘরের সেরা কুকিং হ্যাকস যখন তখন কাজে লাগবে!
Image: google

রান্নাঘরের সেরা কুকিং হ্যাকস যখন তখন কাজে লাগবে!

রান্না আসলে একটা শিল্প। সুন্দর ও রুচিশীল রান্নার কদর বিশ্বব্যাপী। আমাদের জীবনযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টাচ্ছে রান্নাবান্নার কৌশল ও ধরণ। এক সময়ে শুধু মেয়েরাই রান্নাবান্নার সাথে যুক্ত থাকলেও বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনের চাহিদায় আমাদের সবাইকেই কম

বেশি রান্না করতে হয়। কর্মব্যস্ততায় সব সময় গুছিয়ে পরিকল্পনা করে রান্না করা সম্ভব হয় না। রান্নার কাজ দ্রুত সেরে যেতে হয় অন্য কোন কাজে। আর এক্ষেত্রে রান্না সম্পর্কিত টুকটাক টিপস জানা থাকলে রান্না যেমন ভাল হয় তেমনি সময় বাঁচে। মনে রাখবেন সুন্দর পরিপূর্ণ রান্নার জন্য দরকার সৃজনশীলতা, উপস্থিত বুদ্ধি, সঠিক অনুমান ক্ষমতা আর অভিজ্ঞতা। রান্না যদি একেবারেই করতে না

পারেন, কিংবা রান্নার কথা ভাবলেই যদি গায়ে জ্বর আসে, তাহলে এবার মুশকিল আসানের সহজ সমাধানের পথ নিয়ে এলাম আমরা। এই কুকিং হ্যাকসগুলি জানলে দেখবেন, রান্না করাও হয়ে উঠছে কত সহজ!

১. রসুন ছাড়ানোয় কষ্ট? রান্না করতে হলে রসুন ছাড়ানোর কথা ভাবলেই তাবড়-তাবড় রাঁধিয়েদেরও চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। এক-দু’ কোয়া হলে সেটা না হয় হয়েই যায়, কিন্তু যদি অনেক রান্নার জন্য একগাদা রসুন লাগে, তাহলে তো আর কথাই নেই! এবার থেকে অনেক রসুন একসঙ্গে ছাড়াতে হলে একটা জারে কোয়াগুলো নিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। দেখবেন, কী সুন্দর খোসাগুলো কোয়া থেকে ছেড়ে-ছেড়ে এসেছে। এভাবে একসঙ্গে অনেক রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফ্রিজে স্টোর করেও রেখে দিতে পারেন।
২. বিস্কুট রাখতে পাউরুটি! আজ্ঞে হ্যাঁ, এই দুর্দান্ত হ্যাকসটি কিন্তু আপনার মাফিন, কেক, বিস্কুট সব ক’টিকেই এক্কেবারে পারফেক্ট অ্যান্ড ফ্রেশ রাখবে। যে-জারে আপনি মাফিন, কাপকেক, বিস্কুট বা কুকিজের মতো বেকড খাবার স্টোর করে রাখবেন, সেখানে জাস্ট এক স্লাইস পাউরুটি রেখে দিন। দেখবেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার বেক করা কুকিজ বা মাফিন তাজা থাকবে।

৩. আদা ছাড়াতে চামচ রসুনের মতো আদার খোসা ছাড়াতেও কিন্তু অনেকে হিমশিম খান। সেক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে সোজা এই হ্যাকসটি। সঙ্গে যদি পিলার নাও থাকে, বা পিলার দিয়ে খোসা ছাড়াতে যদি আপনার অভ্যেস না থাকে, তাহলেও কোনও সমস্যা নেই। ধারালো একটা চামচ নিয়ে সেটা দিয়েই আপনি সহজে আদার খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।
৪. কুসুম সামলে! ধরুন আপনারও একদিন শখ হয়েছে বেকিংয়ের। এদিকে সেজন্য ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুমগুলো আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে। এদিকে আপনি কিছুতেই সেটি করে উঠতে পারছেন না। কেবলই যেন কুসুমটা পিছলে-পিছলে যাচ্ছে! এই যদি আপনার হাল হয়, তাহলে এবার থেকে সাদা থেকে কুসুম আলাদা করার জন্য একটা খালি প্লাস্টিক বোতলের মুখটা নিয়ে গিয়ে কুসুমের উপরে ধরুন। এবার আলতো করে বোতলটি চেপে নিন, দেখবেন সুন্দর করে কুসুমটা আলাদা হয়ে বোতলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে! এইভাবে খুব সহজেই কিন্তু ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম আলাদা করে ফেলা যায়।

৫. শাক বাছতে… সবুজ শাক-সবজি খাওয়া ভাল। এদিকে রান্নাবান্না করতে না জানলে শাক বাছার মতো হ্যাপা কিন্তু আর কিছুতেই নেই। তার উপর যদি শাক কাটতেও হয়? তাহলে তো আর কথাই নেই। এবার থেকে চিন্তা করবেন না। বাড়িতে যদি পিৎজা কাটার থাকে, তাহলে শাকগুলো জাস্ট বেছে নিয়েই রাফলি পিৎজা কাটার দিয়ে চপ করে নিতে পারেন। এবড়োখেবড়ো হয়ে যাচ্ছে? চাপ নেই, রান্নার পর তো সবই সমান, তাই না?
৬. শ্রেডেড চিকেন? এক নিমেষে! রান্না যারা করতে পারেন না, বিশ্বাস করুন, তাঁদের পক্ষেও কিন্তু শ্রেডেড চিকেন দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নেওয়াটা খুব সহজ একটা ব্যাপার। কিন্তু শ্রেড করতে না জানলে? বাড়িতে যদি হ্যান্ড মিক্সার থাকে, তাহলে একটি পাত্রে চিকেনের টুকরোগুলো রেখে মেয়োনিজ বা সস দিয়ে মিশিয়ে মিক্সারটা হালকা করে চালিয়ে দিন। মেশিনের কেরামতিতে দিব্যি চিকেন শ্রেড হয়ে যাবে, আর আপনার স্যান্ডউইচের পুরও রেডি হয়ে যাবে!

৭. ওই গেল দুধ উথলে! চোখের নিমেষে দুধ যখন উপচে পড়ে, তখন এটা বলা ছাড়া আর উপায় থাকে না! আসলে দুধ জ্বাল দিতে বসলেই ঠায় তাকিয়ে থাকতে হয় তার দিকে। বেশিরভাগের কাছেই এটি একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। এবার থেকে দুধ কখন উথলোতে শুরু করবে, সেই চিন্তা না করে বা পাস্তার জল, ভাতের ফ্যান কখন উথলোবে, সে নিয়ে না ভেবে কাঠের একটা হাতা নিয়ে জল বা দুধের ফেনার উপর রেখে দিন। ওথলানো বন্ধ করতে এটা কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
৮. নরম আটায় আটা-ময়দা কিছুতেই মাখতে পারছেন না? নাকি মাখতে গেলেই ডো-টা খুব টাইট হয়ে যাচ্ছে? এটা যাতে না হয়, সেজন্য কিন্তু আপনি সামান্য দুধ দিয়ে ময়দা মাখতে পারেন। দেখবেন, এভাবে মাখলে ডো-টা খুব নরমও হচ্ছে, এবং দীর্ঘ সময় ফ্রেশও থাকবে।

Check Also

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

1. সহজেই ভালো-খারাপ ডিম চেনার উপায় : শহরের এই কাজের চাপে বারে বারে দোকানে যাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *