ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ যেভাবে ব্যবহার করবেন
Image: google

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ যেভাবে ব্যবহার করবেন

ডায়াবেটিস নি’য়ন্ত্রণে স্বা’স্থ্য বিশেষজ্ঞরা জামের বীজ ব্যবহারের প’রামর্শ দেন। কেন জামের বীজ ডায়াবেটিসে এত উপকারী? ডায়াবেটিস নি’য়ন্ত্রণে জামের বীজে’র ব্যবহার কিভাবে করবেন? জা’নাচ্ছি আম’রা ম্যাক্রোবায়োটিক পুষ্টিবিদ ও স্বা’স্থ্য বিশেষজ্ঞ শিল্পা

অরোরা জা’নাচ্ছেন,”ডায়াবেটিস নি’য়ন্ত্রণে জামের বীজ খুবই উপকারী। ফল ও বীজ উভ’য়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ র’ক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজও র’ক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। জাম খাওয়া উপকারী। বীজগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন খালি পে’টে খেলে ডায়াবেটিস নি’য়ন্ত্রণে থাকবে। ”এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ

ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিনে প্র’কাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী জামের বীজ হাইপারগ্লাইসেমিক ইঁদুরের শরীরে রক্তে গ্লুকোজে’র মাত্রা কমাতে ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক’রতে খুবই উপকারী। আরও জা’না যায়, জামের বীজে’র উপকারী প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষ’মতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্র’তিরো’ধে সাহায্য করে। ফলে রো’গীদের রোজে’র খাদ্যতালিকায় জামের বীজ রাখা দরকার। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রাম এন কুমা’রের মতে,”জামের বীজ অধিকাংশ আয়ুর্বেদিক ডায়াবেটিসের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়। জামের সংস্কৃত নাম জাম্বু,

এবং বিভিন্ন আদি আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে। ভারতের আর এক নাম জাম্বুদ্বীপ বা অনেক জাম্বু (জাম) বা ভারতীয় ব্ল্যাকবেরি গাছের দেশ । আয়ুর্বেদ মতে জাম হল অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যা’গ কমাতে সাহায্য করে, হাইপো গ্লাইসেমিক গুণ আছে যা র’ক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী। জাম ফল ও বীজ উভ’য়েই এই গুণগু’লি উপস্থিত। ডায়াবেটিস নি’য়ন্ত্রণে কিভাবে জামের বীজ ব্যবহার করবেন দেখে নিন:জাম পরি’ষ্কার

করে একটি পাত্রে রাখু’ন। আঙুল দিয়ে ফল থেকে বীজ ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য একটি শিশিতে রেখে দিন। বীজগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন যাতে গায়ে শাঁস না লে’গে থাকে পরি’ষ্কার কাপ’ড়ে বীজগুলো ছ’ড়িয়ে রোদ্রে ৩ থেকে ৪ দিন দিন শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভি’তরের সবুজ অংশ বার করুন । সবুজ অংশটি সহজেই আঙুলের চা’পে ভাঙতে পারবেন। সবগু’লি

ভে’ঙে আরও কিছুদিন রোদ্রে শুকোতে দিন ।এবার শুকনো বীজগুলো মিক্সিতে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন । ভাল করে গুঁড়ো করার পর চালুনিতে চেলে নিন। তারপর জামের বীজে’র গুঁড়ো একটি বায়ু-নিরো’ধক শিশিতে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। এক গ্লাস জলে এক চা-চামচ জামের বীজে’র গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পে’টে পান করুন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *