রান্না হচ্ছে একটি শিল্প। রান্নাকে যতটা কঠিন মনে হয়, ততটা কঠিন কিন্তু নয়। অনেকে ভয় থেকে বা অতিরিক্ত কৌতুহল থেকে রান্নায় তাল-গোল পাকিয়ে ফেলে! কিন্তু সহজভাবে নিলে যেকোনো রান্নাই হবে ঝামেলাহীন। আর বিরক্তি নিয়ে নয়, যেকোনো কাজই ভালোবেসে করতে





হয়। আন্তরিকতা আর ভালোবাসা দিয়ে কাজ করলে তা সুন্দর হবেই।যারা নতুন রাঁধুনী কিংবা শখের বশে এক-দু’দিন রান্না করেন, তারা কিছু সহজ টিপস মাথায় রাখতে পারেন। আবার রান্না তেমন ভালো না হলেও মন খারাপ করবেন না। পাকা রাঁধুনীদেরও রান্না সবদিন ভালো হয় না। স্বাদ ভালোফুলকপি দেখতে সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। কিন্তু রান্না করতে গিয়ে এটি অনেক সময় গলে যায়। যার কারণে স্বাদ ও সৌন্দর্য দুটিই নষ্ট





হয়। তাই ফুলকপি সেদ্ধ করার সময় হাফ চা চামচ টকদই বা দুধ দিয়ে দিলে কপি গলে যাবে না।বাঁধাকপি খেতে ভালো, আমাদের শরীরের জন্য উপকারীও। কিন্তু এটি খেলে গ্যাস হয় অনেক সময়। তাই বাঁধাকপি সবসময় অল্প ভাপিয়ে নিয়ে খান।চালের পাত্রে শুকনো মরিচ আর





গোলমরিচ দিয়ে রাখুন। দেখবেন দীর্ঘদিন পোকা ধরবে না। চাল কালো হয়েও যাবে না। পেঁয়াজ কাটার আগে বেশ খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
তাহলে আর পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখ দিয়ে পানি পড়বে না। ফ্রিজের দরজায় কখনো দুধের বোতল রাখবেন না। সবসময় তাকে রাখুন। কারণ দরজা খুললেই তাপমাত্রার বেশ হেরফের হয়। এতে দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বেক করার সময় মাইক্রোআভেনের দরজা খুলে বারবার দেখবেন





না। এতে মেশিনও খারাপ হয়। খাবারও ঠিকমতো গরম হয় না। ঠিকঠাক তাপমাত্রায় বেক করতে বসান। পাউরুটি কখনো খোলা ফেলে রাখবেন না। খাওয়ার পর মনে করে গার্ডার দিয়ে মুড়ে ফ্রিজে রাখবেন। এতে রুটি তাজা থাকবে। রান্নায় লবণ বা চিনি বেশি হয়ে গেলে একটুকরো কাঁচা আলু দিয়ে দিন। মুহূর্তেই হবে সমস্যার সমাধান। কফি খুব তেতো হয়ে গেলে ফেলে না দিয়ে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। দেখবেন তিতকুটে





ভাব চলে গেছে। চিনিতে পিঁপড়া ধরলে কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন চিনির পাত্রে। সহজেই পিঁপড়া দূর হবে। মাছ ভাজার গন্ধে অস্বস্তি হয় অনেকের। আপনারও এমনটা হলে যেদিন মাছ রান্না করবেন সেদিন রান্নাঘরে গ্যাসের পাশে একটি বাটিতে ভিনিগার রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ দূর হবে অনেকটাই।









