গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ওষুধের চেয়েও দ্বিগুণ কার্যকরী এই ভেষজ উপাদান!
Image: google

গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ওষুধের চেয়েও দ্বিগুণ কার্যকরী এই ভেষজ উপাদান!

বাঙালি যেমন পেটুক, তেমনই পেটরোগাও! কখনও একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা তেল-মশলার পরিমাণ সামান্য এ দিক ও দিক হলেই হজমের সমস্যায় পড়েন। গরমে হজমের সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার সঙ্গে যদি জুড়ে বসে গ্যাস-

অম্বলের সমস্যা, তা হলে তো আর কথাই নেই। গরমে মরসুমে একটু ফিশ ফ্রাই, বিরিয়ানি খেলে আর রক্ষে নেই! বিকেলের দিকে ঝড়-বৃষ্টির পর একটা শিঙাড়া খেয়ে নিলেন। তার আধ ঘণ্টা বাদে চা, মুড়িমাখা খেলেন। আর এতেই কিন্তু অ্যাসিডের সম্ভাবনা বাড়ে। আপনি যত বার খাবেন, তত বার অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। আর তার পরিমাণ অতিরিক্ত হলেই বুক জ্বালা,

চোঁয়া ঢেকুরের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে, জানেন কি, আমাদের সামনে এমন কিছু আয়ুর্বেদ রয়েছে যা খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে নিমিষে। বা কোনওদিনও যদি বুঝতে পারেন আপনার সমস্যা হতে পারে, তাহলে খাওয়ার পরই এগুলো খেয়ে নিন, দেখবেন দ্রুত মুক্তি মিলবে।

1. পার্সলে:
যাঁরা গ্যাস বা অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য এই ভেষজটি বেশ কার্যকরী। পার্সলে পাতা ভারতীয় রান্নায় ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্সলে আসলে মূত্রবর্ধক। এটি শরীর থেকে জল ও নুনের ক্ষয় বাড়াতে সাহায্য করে।
2. জিরে:
জিরে এমনই একটি মশলা, যা সব ভারকীয় হেঁশেলে পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, জিরে আমাদের হজম রসকে উদ্দীপিত করে। এই মশলা অ্যাসিডিটি বা বদহজমের মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় সহজেই। খাওয়ার পর অনেকেরই পেট ফুলে যায়, তাঁদেরও এই মশলা খেলে ভালো কাজ করে।

3. তুলসি:
পেটের সমস্যার জন্য আয়ুর্বেদে বহু শতাব্দী ধরে তুলসি ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে তুলসি পাতার নির্যাস গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল, পরে তা প্রমাণিত হয় তুলসিও বদহজমের সমস্যায় কার্যকরী। পেটে গ্যাস তৈরি হওয়ার মতো সমস্যা হলে নিয়মিত তুলসি পাতা খেলে অনেকটাই কমে যায়।
4. মৌরি:
মৌরি কেবল মুখশুদ্ধি হিসেবে নয়, পেটের সমস্যাতেও দুর্দান্ত আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। এই মশলা কেবল স্ফীত পেশীগুলিকে শিথিল করে না তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। এই বীজগুলি পাকস্থলী এবং অন্ত্রের পেশীগুলিতে ভালো প্রভাব ফেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস দূর করতে সহায়ক। ​

5. ক্যামোমিল চা:
যাঁরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই ভেষজ চা খুবই উপকারী। এর পাতাগুলি গ্যাস্ট্রাইটিসের মতো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং আলসার থেকেও মুক্তি দেয়। হজমের সমস্যা কার্যকরভাবে কমাতে আপনি প্রতিদিন এক কাপ গরম ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন।
​6. পুদিনা:
যারা খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেট ফাঁপার সমস্যা, তাঁদের উচিত পুদিনা খাওয়া। এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ পেটে অতিরিক্ত গ্যাস গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে পেপারমিন্ট তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগ রয়েছে, যা আপনাকে গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *