একটু একটু করে চৌকাঠ পেরিয়ে এগোচ্ছে শীত। সকালের দিকে গা শিরশির আর বাতাসে শুষ্ক ভাবই তার প্রমাণ দিচ্ছে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা থাকে না বলে ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। যার প্রভাবে ত্বক খসখসে হয়ে যায়, দেখা দেয় র্যাশ ইত্যাদির সমস্যা। ঋতু পরিবর্তনের কারণে
এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে ব্যবহার করা যায় ঘরোয়া একটি স্ক্রাব। যার গুণে দূর হবে ত্বকের শুষ্কতা। যে যে উপাদান লাগবে- এক টেবিল চামচ বেসনএক চা চামচ চন্দনের গুঁড়োএক টেবিল চামচ দুধের মাঠা ৫ ফোঁটা লেবুর রসএক চা চামচ মধুএকটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলদুই চিমটে হলুদ গুঁড়োএক চা চামচ গোলাপ জল
কীভাবে ব্যবহার করতে হবে-
প্রথমে একটি পাত্রে উপরে উল্লিখিত সব উপকরণ নিতে হবে। তারপর সেগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখ, ঘাড়, হাতে লাগাতে হবে এই মিশ্রণ। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট এটা মুখে রেখে দিতে হবে, তার আগে বৃত্তাকার ভাবে আঙুল দিয়ে আলতো ঘষতে হবে। তবে এই রূপটান
যেন পুরো শুকিয়ে না যায়, তাই বেশিক্ষণ ত্বকে রাখা চলবে না। হালকা শুকিয়ে এলেই আলতো করে ঘষে তুলে দেওয়ার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।এই রূপটান লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। ঠোঁট ও চোখের চারপাশে এই মিশ্রণ লাগানো যাবে না। আঙুল দিয়ে খুব
আলতো করে ঘষতে হবে আর মাথায় একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিলে ভাল হয়- এতে চুলে এই প্রলেপ লাগবে না। মুখে কোনও ঘা, ব্রণ বা ফুসকুড়ি থাকলে এই প্রলেপ না লাগানোই ভাল। ত্বক যদি খুব সংবেদনশীল হয়, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া মুখে এই রূপটান
লাগানো যাবে না। বেসন ত্বককে এক্সফোলিয়েট করবে এবং মৃত কোষ দূর করবে। অন্য দিকে, চন্দন ত্বককে উজ্জ্বল করবে। রূপটানের দুধের ক্রিম, মধু এবং গোলাপ জলের কাজ হল ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করা এবং এর শুষ্কতা দূর করা। হলুদ এবং ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করবে।