হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হয় কেন জানেন
Image: google

যেসব কারণে হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হয়

আমাদের সকলেরই জীবনের কোনো না কোনো সময়ের কিছুটা অংশ হোটেলে কেটেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনেই আমরা হোটেলে অবস্থান করে থাকি। একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় হোটেলের বিছানার চাদর এবং বালিশের ওয়ার সব সময়ই সাদা। কিন্তু কখনও মনে প্রশ্ন জেগেছে কি, এ

রকম কেন করা হয়? হয়তো আপনি ভাবছেন এ আবার কী কথা! কিন্তু না, এর পেছনে রয়েছে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ।১৯৯০-এর দশকে হোটেলের কক্ষে সাদা চাদর, বালিশ ও তোয়ালের ব্যবহার শুরু হয়। একে জনপ্রিয় করে তোলে ওয়েস্টিন ও শেরাটন। দুই হোটেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব

ডিজাইন এরিন হুভার মনে করেন, সাদা বিছানা অতিথিদের মাঝে ভ্রম সৃষ্টি করে। এ দেখে তারা মনে করেন রুমটি মাত্রই পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। এতে দর্শনার্থীরা আরামবোধ করে। সাদা রং মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। মনে শুভ্রতা ও পরিচ্ছন্নতার তাড়না

আসে। এ ছাড়া আলোর নিয়ম অনুসারে, সাদা রং আলোর প্রতিফলন ঘটায়। এতে রুম আরও উজ্জ্বল দেখায়। অনেকে সাদা রং বিলাসিতার প্রতীক বলে মনে করেন। তাই হোটেল রুমের বিছানায় সাদা চাদর ব্যবহার করা হয়। সাদা চাদর-বালিশ একটু নোংরা হলে তা একসঙ্গে ভিজিয়ে

তা ধোয়া যায়। অন্য রঙের হলে একটা থেকে অন্যটায় রং লেগে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট (আইআইএইচএম) কলকাতা’র ‘হাউস কিপিং’- এর অধ্যাপক তরুণ সরকার জানান, নয়ের দশকের শুরুতে ওয়েস্টিন হোটেল গ্রুপ তাদের

হোটেলের ঘরগুলোতে সাদা বালিশ-চাদর-তোয়ালের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করে। তিনি আরও জানান, ১৯৭০-’৮০ সালেও ইউরোপ এবং আমেরিকার বেশ কয়েকটি নামী হোটেলে সাদা চাদর-বালিশ ব্যবহারের চল ছিল। তবে ১৯৯০-এর গোড়ায় ওয়েস্টিন এবং শেরাটন হোটেলের

ডিজাইন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিন হুভার-ই ওয়েস্টিন হোটেল গ্রুপের ঘরগুলোতে সাদা চাদর-বালিশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছিলেন হুভার।

Check Also

এবার ওড়িশায় মিলল বিপুল পরিমাণে সোনার ভাণ্ডার!

এবার ওড়িশায় মিলল বিপুল পরিমাণে সোনার ভাণ্ডার!

ইতিমধ্যেই দেশের জম্মু ও কাশ্মীরে বিপুলহারে লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে, এবার আরও একটি বড় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *