মানুষের শরীরে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির সমস্যা হলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরোতে পারে না। আর তার প্রভাব পড়ে শরীরের অন্য অঙ্গে। সেই কারণেই কিডনির সমস্যায় প্রাণহানীও হতে পারে। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময়েই কিডনির সমস্যা
চট করে টের পাওয়া যায় না। তাই অনেক দেরি হয়ে যায়, তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে গেলে বিপদ এড়ানো অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে। তবে কোনও স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই টের পাওয়া সম্ভব কিডনির হাল। এর উপায় হল প্রস্রাবের ধরন দেখা। প্রস্রাবের রং এবং বৈশিষ্ট্য় দেখে বোঝা যেতে পারে কিডনি ঠিক আছে কি না। যদি কোনও অস্বাভাবিকতা থাকে, তাহলে গাফিলতি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে
যেতে হবে। আপনার বারবার প্রস্রাব হচ্ছে? দিনের মাথায় ৪-৫ বার প্রস্রাব হলে অসুবিধা নেই। বেশি জল খেলে ৭-৮ বারও হতে পারে। কিন্তু ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, কিডনির সমস্যা হচ্ছে। প্রস্রাব করার পরেও মনে হচ্ছে ভিতরে কিছুটা জমে আছে? এটিও কিডনির সমস্যার পূর্বাভাস। রাতে বারবার ঘুম প্রস্রাবের জন্য ঘুম ভেঙে যাচ্ছে? ১ বার বা ২ বার পর্যন্ত তাও ঠিক আছে। কিন্তু ৪-৫ বার
হয়ে গেলে বুঝতে হবে, কিডনির সমস্যা হচ্ছে। প্রস্রাবের সঙ্গে পুঁজ বেরোলে, তা মারাত্মক সমস্যার ইঙ্গিত। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রস্রাবের সঙ্গে র’ক্ত বের হওয়াটাও একই রকম বিপজ্জনক। অনেকেরই প্রস্রাবে ফেনা হয়। এটিও উপেক্ষা করবেন না। এটি কিডনির বড় সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেকেরই
প্রস্রাবের সঙ্গে দানা দানা পাথরের গুঁড়ো বার হয়। এটিও ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক একটি জিনিস। কিডনিতে পাথর জমলে এমন হতে পারে। চিকিৎসককে জানান এই সমস্যার কথা। প্রস্রাব করার সময়ে তলপেটে, কোমরের পিছন দিকে ও পাঁজরে ব্যথা হচ্ছে? এটিও কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত কথা বলুন।