মাত্র ৭ দিনেই পা ফাঁটা দূর করবে পেঁয়াজ
Image: google

মাত্র ৭ দিনেই পা ফাঁটা দূর করবে পেঁয়াজ!

পা ফাটা যেমন যন্ত্রণাদায়ক,তেমনই বিরক্তিকর। পা ফাটার সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়ই ভোগেন। এ সমস্যা কারো কারো ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করে। পা ফেটে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম হয়। তখন ঠিকভাবে হাঁটাও যায় না! শীতকালে ত্বক হয়ে পড়ে আর্দ্র। আর পায়ের

পাতা এমনিতেই সংবেদনশীল। ফলে সেই অংশে চাপ পড়ে ফেটে যায়। দীর্ঘদিন পা ফাটার সমস্যা একসময় ইনফেকশনের কারণ হতে পারে। এজন্য শীতকালে মুখ, ত্বকের পাশাপাশি পায়ের যত্নও নেওয়া জরুরি।পা ফাটার সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তারপরও যদি কোনো কাজ না হয়; তাহলে এক ম্যাজিক টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজেই পা ফাটা সমস্যার সমাধান

হবে। জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন পেঁয়াজ-পেঁয়াজের রস পা ফাটার জন্য খুবই কার্যকরী। পেঁয়াজের রস ব্যবহারের পাশাপাশি খেতেও পারেন। এতে শরীর বাঁচে শুষ্কতার হাত থেকে। কারণ পেঁয়াজের মধ্যেরয়েছে- ফসফরাস, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন। এ ছাড়াও শরীরের

অতিরিক্ত টক্সিন (ক্ষতিকর পদার্থ) বের করে দেয় পেঁয়াজ। সেই সঙ্গে ঠিক রাখে রক্ত প্রবাহ। পেঁয়াজে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই।
ভিটামিন সি ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর এসব ভিটামিনই ত্বককে যাবতীয় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।

যেভাবে বানাবেন পেঁয়াজের রস-ব্লেন্ডারে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে নিন।এর মধ্যে এক চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোড়ালির ফাটা স্থানে ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানিতে পা ধুয়ে নিন। এক সপ্তাহ নিয়মিত এ টোটকা ব্যবহার করলে ফল

দেখবেন ম্যাজিকের মতো। ফাটা তো দূর হবেই, সঙ্গে দাগও মিলিয়ে যাবে।এ ছাড়াও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোড়ালিতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সরিষার তেল, অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ভালোকরে ম্যাসাজ করে ফাটার স্থানে মিশ্রণটি ব্যবহার করে মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে উঠে ভালো করে পা দু’টো ধুয়ে নিন।

Check Also

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

শীতকালে অনেকের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকি কেবল চুলকে ময়লাই দেখায় না, চুলের বিভিন্ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *