গোটা বিশ্ব এখন করেনায় জড়সড়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ কিংবা আক্রমণের ধরন যদি ঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়,
তাহলে খানিকটা হলেও করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। করোনার মারণ থাবায় গোটা বিশ্বের নাজেহাল অবস্থা। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এর প্রভাব। উল্টে ক্রমেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন
আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সব দেশের গবেষকরাই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ কিংবা আক্রমণের ধরন যদি ঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়, তাহলে খানিকটা হলেও করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। যদিও বার বার রূপ বদলাচ্ছে করোনা। এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে বয়স, লিঙ্গ কিংবা শরীরে থাকা কোনও গুরুতর রোগের উপর নির্ভর করে এই ভাইরাস তার চরিত্র বদল করছে।
যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চেনা ছকের মধ্যে আছে করোনার চরিত্র। সম্প্রতি সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার উপসর্গকে যদি বোঝা যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেকে দ্রুত আইসোলেশনে রাখতে সক্ষম হবেন। এছাড়া করোনা জ্বর ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্যটা বোঝা দরকার। করোনা ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে, অবশ্যই জেনে নিন- কোনও ভাইরাল
জ্বরে অনেক সময় একের বেশি উপসর্গ দেখা যায়। কখনও অল্পসর্দিকাশি, গা হাত-পা ব্যথা হয়। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয় না।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রথমে জ্বর হবে। তারপর সর্দি-কাশি ও পেশিতে ব্যথা শুরু হবে। এরপর শুরু হবে বমি ও পেট খারাপ। সবার শেষে শ্বাসকষ্টর সমস্যা হয়। তবে এগুলি ছাড়াও আরও অনেক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় আবার কোনও উপসর্গই
দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। আবার অনেক সময় মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বুকে ব্যথা, গন্ধ না থাকা এগুলিও করোনার লক্ষণ হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন যে উপসর্গ ও ভাইরাসের বিস্তারের ধরন সম্পর্কে যদি প্রাথমিক ধারণা থাকে তাহলে কিছুটা হলেও এই মারণ সংক্রমণের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।