“সব কী পছন্দ নিরমা” -পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মেয়েকে অমর করে রাখার গল্প!

পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল কারসানভাই প্যাটেলের মেয়ে নিরুপমা। ডাকনাম নিরমা। মেয়েকে অমর করে রাখতে নিজের ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ডের নামও নিরমা রেখে দেন আমেদাবাদের ওই ব্যক্তি।যে ব্র্যান্ডটি তাঁর কাছে মেয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আর আজ সেই

ব্র্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে কারসানভাই এর মেয়ের নামও ঘোরে সবার মুখে মুখে। “সব কী পসন্দ নিরমা” ।দরজায় দরজায় ডিটারজেন্ট বিক্রি করা নিরমার বাবা আজ ডিটারজেন্টের বাজারে ৩৫% শেয়ারের মালিক। ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে নিরমার যাত্রা। সেই সময়টায় দেশীয় ডিটারজেন্টের কোম্পানির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলির সঙ্গে লড়াইয়ে প্রথমের দিকে বেশ বেগ পেতে

হয়েছিল কারসানভাইকে । তবে, বিজনেস স্ট্র্যাটেজিতে নতুন চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করে সাফল্যের মুখ দেখেন তিনি। গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজার ধরতে প্রথমে তিনি শুরু করলেন সস্তায় ডিটারজেন্ট বিক্রি।খোকরায় নিজের বাড়ির পিছনে বসে নিজেই শুরু করলেন ডিটারজেন্ট তৈরি করা। তারপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৩ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করতেন কারসানভাই। সেই সময় অন্যান্য ডিটারজেন্টের

দাম ছিল কেজি প্রতি ১৩-১৪ টাকা।৮০-র দশকে বিজ্ঞাপনী প্রচারে আলোড়ন ফেলে দেন কারসানভাই। মেয়ে নিরমার সাদা ফ্রক পরা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে ‘সব কী পসন্দ নিরমা’।নিরমার জিঙ্গল বিক্রি বহু গুণ বাড়িয়ে দেয় এই ডিটারজেন্টের। তাদের সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের সার্ফও তাদের থেকে বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে পড়ে। শুধু

ডিটারজেন্টই নয়, নিজের ব্যবসাকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন কারসানভাই। লাজুক স্বভাবের এই মানুষটি ১৯৯৫ সালে তৈরি করেন নিরমা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ২০০৩ সালে তৈরি করেন নিরমা ইউনিভার্সিটি অফ সায়ান্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ২০০৪ সালে

কারসানভাই লঞ্চ করেন নিরমা ল্যাবস এডুকেশন প্রজেক্ট।সাইকেলে ক্রিং ক্রিং করে ডোর টু ডোর ডিটারজেন্ট বিক্রি করা কারসানভাই আজ ২৫০০ কোটির মালিক ২০১০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে সরকার ।।

About Susmita Roy

Check Also

মাত্র ২০০০ টাকায় মেশিন কিনে শুরু করুন এই দারুন লাভের ব্যবসা

মাত্র ২০০০ টাকায় মেশিন কিনে শুরু করুন এই দারুন লাভের ব্যবসা

যে কোন চাকরির থেকে ব্যবসা করে কিন্তু অনেকটাই বেশি উপার্জন করা যাচ্ছে।এমতাবস্থায় আজকের এই বিশেষ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *