আজ আমরা গুজরাটের ভোদোদরা শহরের শৈলজার সাফল্যের কথা বলতে চলেছি। শৈলজা 2018 সালে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে খাঁটি ঘানি তেলের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তিনি 10 রকম তেলের ব্যবসা করছেন যেমন চিনা বাদাম, বাদাম, নারকেল ইত্যাদি। এই
ব্যবসা করে তিনি বছরে সহজেই চার লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। শৈলজা ইউটিউবে ভিডিও দেখে এই ব্যবসা শুরু করেন। শৈলজা বলেছেন যে বাজারে যে তেল গুলো বিক্রি হয় সেই তেলগুলি রাসায়নিক মিশ্রিত হয় এবং ফ্যাট থাকে তাই জন্য ডাক্তাররা ঘানির তেল ব্যবহার করতে বলেন। এর ফলে লোকেরা এখন ঘানির তেল বেশি ব্যবহার করছেন এবং এই সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। তিনি প্রতি মাসে
প্রায় হাজার লিটার তেল উত্তোলন করেন আগে তিনি 10 থেকে 12 লিটার তেল উত্তোলন করতেন বিক্রির জন্য। তিনি গ্রাহকদের ভেজালমুক্ত তেল দেন। শৈলজা আসলে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা কিন্তু তিনি যখন 10 বছর বয়সী ছিলেন তখন তিনি ভোদোদরায় চলে আসেন। দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পরে তার বিয়ে হয়ে যায় এবং তার এক ছেলে ও মেয়ে হয়। তার ছেলে বিদেশে আছে এবং তার মেয়ে
পড়াশোনা শেষ করতে ব্যাঙ্গালোর গেছে। এবং তার স্বামী একটি পেট্রোলিয়াম সংস্থায় চাকরি করতেন। শৈলজা আগে পাঁপড় বিক্রি করতেন। তারপরে তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে এই ব্যবসার কথা ভাবেন এবং পরিবারের সকলের মত নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন। তিনি প্রথমে 10 থেকে 12 লিটার তেল উত্তোলন করতেন। তিনি দশ রকমের তেল বানান। অপরিশোধিত দানাদার তেলকে সবচেয়ে
স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়, কারণ এটি থেকে যখন তেল বের করা হয় তখন এর তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে না। এ কারণে তেলে উপস্থিত পুষ্টিগুলি অক্ষত থাকে। এছাড়াও এতে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ওমেগা 3, ভিটামিন এবং খনিজ গুলি উপস্থিত থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখে। এটি ক্ষুধাও বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শৈলজার এই কাজটি উল্লেখযোগ্য।।